• ফের একবার বাংলার বুকে জোট হতে পারে কংগ্রেস ও তৃণমূলের! দাবি রিপোর্টে
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২২ অক্টোবর ২০২৪
  • বাম ও কংগ্রেসের জোট ভেঙেছে উপনির্বাচনের আবহে। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বদলের জেরে বামেদের সঙ্গে সময় মতো আলোচনায় বসতে পারেনি কংগ্রেস। আর এরই মাঝে এবার বাংলার মাটিতে ফের একবার তৃণমূলের সঙ্গে কংগ্রেসের জোট দেখতে পাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হল। আনন্দবাজার পত্রিকার রিপোর্ট অনুযায়ী, কলকাতা মেট্রো ইউনিয়নের ভোটে তৃণমূল এবং কংগ্রেস জোট গড়তে পারে। উল্লেখ্য, ২০১১ সালে সিপিএম-কে হটিয়ে পালা বদলের সময় কংগ্রেস এবং তৃণমূল জোট বেঁধে লড়েছিল। তবে এরপর তাদের জোটে চিড় ধরে। কংগ্রেস হাতে তুলে নেয় কাস্তে-হাতুড়ি। যদিও চলতি বছরের লোকসভা ভোটে কংগ্রেস ও তৃণমূলের জোট সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। আলোচনায় বসেছিল দুই পক্ষ। তবে সেই সময় অধীরের কাঁধে দোষ চাপিয়ে জোটের পথে এগোয়নি তৃণমূল। তবে বঙ্গ কংগ্রেসে নেতৃত্বে বদল হতেই সমীকরণ বদলের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।

    রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, সোমবার সন্ধ্যায় তৃণমূল ঘনিষ্ঠ মেট্রো কর্মী ইউনিয়নের সভাপতি মদন মিত্র বৈঠক করেন মেট্রো রেলওয়ে ওয়ার্কর্স কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক তাপস মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে। জানা গিয়েছে, মদন মিত্র নাকি জোটের প্রস্তাব দেন সেই বৈঠকে। এদিতে সংগঠনের নেতারাও নাকি জোটে আগ্রহী। যদিও এই বিষয়ে প্রকাশ্যে কেউ কিছু বলেনি বলেই জানানো হয় রিপোর্টে। তবে শেষ পর্যন্ত যদি কংগ্রেস এবং তৃণমূলের জোট হয়, তাহলে তা হবে এক নয়া সূচনা।

    অধীর পরবর্তী সময়ে কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মেলাতে যে তৃণমূলের সমস্যা নেই, তা আকারে ইঙ্গিতে জানানো হয়েছিল বিভিন্ন সময়ে। এমনকী লোকসভা ভোটের সময়ও তৃণমূল সুপ্রিমো থেকে শুরু করে শীর্ষ নেতারা স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন, কংগ্রেস হাইকমান্ডের সঙ্গে তাদের কোনও বিরোধ নেই। তবে তৎকালীন বঙ্গ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীতে সমস্যা আছে তাঁদের।

    এদিকে বাংলার মাটিতে নয়া জোট সমীকরণ তৈরির সম্ভাবনার মাঝেও কংগ্রেসের জন্যে দরজা খোলা রেখেছে বামেরা। বামফ্রন্ট সভাপতি বিমান বসু জানিয়েছেন, ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট হতেই পারে। উল্লেখ্য, রাজ্যে ৬টি আসনে বিধানসভা উপ নির্বাচন ঘোষণা করেছে কমিশন। এই আবহে উপ নির্বাচনে আসন রফার প্রস্তাব দিয়ে সোমবার দুপুরে কংগ্রেসের তরফে প্রথমবার যোগাযোগ করা হয় বামেদের সঙ্গে। প্রাথমিক আলোচনার পর সন্ধে ৭টা নাগাদ বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুকে ফোন করেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকার। বিমান বাবু জানিয়েছেন, বামফ্রন্টের কাছে প্রথমে সিতাই আসনটি দাবি করেন শুভঙ্করবাবু। কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে প্রস্তাব খারিজ করে দিয়ে বিমানবাবু বলেন, ‘অনেক দেরি করে ফেলেছেন’। ওই আসনে ফরওয়ার্ড ব্লক লড়াই করবে বলে সিদ্ধান্ত হয়ে গিয়েছে। এর পর নৈহাটি আসনটি দাবি করেন শুভঙ্করবাবু। সেটিও ছাড়া সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দেন বিমানবাবু। ওই আসনে সিপিআইএমএল লিবারেশন লড়াই করছে।

    প্রসঙ্গত, প্রার্থী ঘোষণার আগে কংগ্রেসকে উপনির্বাচনের আসন রফার আলোচনায় আহ্বান জানিয়েছিল বামেরা। তবে তখন তারা সাড়া দেননি। বামেদের প্রার্থী ঘোষণার পরে আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে ফোন করেন শুভঙ্করবাবু। এই আবহে অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষক মনে করছেন, বামেদের সঙ্গে কংগ্রেস জোট ভাঙতেই এই 'কৌশল' অবলম্বন করল কংগ্রেস। আর এরই মধ্যে প্রকাশ্যে এল কংগ্রেস শ্রমিক নেতার সঙ্গে মদন মিত্রের বৈঠকের খবর।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)