'উনি কখন হাসেন আর কখন কাঁদেন…', মমতাকে কটাক্ষ শুভেন্দুর
হিন্দুস্তান টাইমস | ২২ অক্টোবর ২০২৪
জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে গতকাল নবান্নের বৈঠকে অনেক সময় বিরক্ত হতে দেখা গিয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এই নিয়ে আজ প্রশ্ন করা হলে তা এড়িয়ে যান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তবে তার মধ্যেও মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি নন্দীগ্রামের বিধায়ক। জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আচরণ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে আজ সাংবাদিকদের শুভেন্দু অধিকারী বলেন, 'আমি ওনার কোনও কথার উত্তর দেব না। উনি কখন হাসেন, কখন কাঁদেন বলতে পারব না।' এরপর তিনি সাংবাদিকদের বাড়িয়ে রাখা বুম সরিয়ে বিমানবন্দরে ঢুকে যান।
এদিকে গতকাল ২ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে বৈঠক চলে নবান্নের সভাঘরে। বৈঠকে যখন প্রায় ২ ঘণ্টা অতিক্রান্ত, তখন একটা সময় বিরক্ত হয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চিকিৎসকদের উদ্দেশে প্রশ্ন করেন, 'আর কত কথা বলবে বাবা?' তিনি বলেন, ৪৫ মিনিট সময় দেওয়া ছিল। সেটা ২ ঘণ্টা হয়ে গেল। একটা পরিবার আমার সঙ্গে দেখা করতে এসেছে। সেটা তোমরা বোঝ। বার বার মোবাইল দেখা শুরু করেন মমতা। এদিকে গতকালকের বৈঠকে পয়েন্ট ধরে ধরে জুনিয়র ডাক্তাররা তাঁদের বিষয়বস্তুগুলি তুলে ধরেন। কার্যত রাজ্য সরকার যখন একাধিক বিষয়কে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন তখন পালটা জুনিয়র ডাক্তাররা টক্কর দেন।
গতকাল বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'সিঙ্গুর নিয়ে ২৬ দিন অনশন করেছিলাম। গোপাল গান্ধী এসেছিলেন। মহাশ্বেতা দেবী সহ অন্য়ান্যরা এসেছিলেন। তোমাদের আমরা ভালোবাসি, আমি অনেক আন্দোলন থেকে উঠে এসেছি। তোমরা তোমাদের কথা মন খুলে বলার সুযোগ পেয়েছ। আমার জন্য কেউ কিছু করেনি। আমাকে খালি বলেছিল প্রত্যাহার কর। আর কিছু বলেনি।' তখনই এক জুনিয়র ডাক্তার বলেন, 'আমরা আমাদের কথা তো বলবই ম্যাডাম।' এদিকে বৈঠকে রেসিডেন্ট ডক্টরস অ্য়াসোসিয়েশন প্রসঙ্গ উঠতেই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, দেওয়া যাবে না বাবা। অনুমোদনও নেই। এরপর জুনিয়র ডাক্তাররা বলেন, তাহলে নির্বাচন কীভাবে হবে? মুখ্য়মন্ত্রী বলেন, আমরা যতটা বলার বললাম।
এদিকে ব়্যাগিং প্রসঙ্গে বৈঠকে এক জুনিয়র ডাক্তার বলেন, কলেজে কাউকে ব়্যাগিং করা হল তবে সেটা কারা দেখবে? অ্যান্টি ব়্যাগিং কমিটি নাকি স্টেট লেভেল টাস্ক ফোর্স? সেই প্রশ্নের উত্তরে মমতা বলেন, কলেজে তো অ্যান্টি ব়্যাগিং কমিটি আছে। তারা দেখবে। তখন জুনিয়র ডাক্তার বলেন, আসলে কমিউনিকেশন গ্যাপ রয়েছে। কলেজে যে অ্যান্টি ব়্যাগিং কমিটি ছিল সেগুলি আদৌ কার্যকরী নয়। কারণ সেগুলি নামে আছে। কিন্তু সেখানে যারা রয়েছেন তারা পাশ করে বেরিয়ে গিয়েছেন। সেক্ষেত্রে সেই অ্যান্টি ব়্যাগিং কমিটির আর কোনও অস্তিত্ব নেই।