শুভঙ্কর বলেন, ‘‘সব জেলাতেই ভাঙনের প্রবণতা আছে। আমাদের দাবি, এমন প্যাকেজ তৈরি করতে হবে যাতে গঙ্গার ভাঙন কিছুটা রোধ করা যায়। মালদহ, মুর্শিদাবাদ, সুন্দরবন বিশেষ ভাবে উল্লেখযোগ্য। এ বার যে জল ছাড়া হল সবাই তা জানে। যাঁদের বাস্তু চলে গিয়েছে, তাঁদের কথা ভাবতে হবে। সরকারি জমি চলে গেলে সরকার অন্য জায়গায় ল্যান্ডব্যাঙ্ক তৈরি করতে পারে। অন্য জায়গায় স্কুল -কলেজ তৈরি করতে পারে। কিন্তু যাঁরা সাধারণ মানুষ, তাঁদের ঘরবাড়ি চাষের জমি চলে যাচ্ছে, তখন তাঁদের তো পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘সরকার যদি কিছু না ভাবে, তা হলে রাজ্য সরকার বলুক। আমাদের প্রতিনিধি অধীর চৌধুরী ও ঈশা খান চৌধুরীকে নিয়ে যান দিল্লিতে। সেখানে গিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে দরবার করুক। ওই সব জেলা থেকে যাঁরা শাসকদলের প্রতিনিধি আছেন, তাঁরা গিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে বলুন।’’
এই অবস্থানের পর সরকার কোনও পদক্ষেপ না করলে পশ্চিমবঙ্গ থেকে ৫০ জন কংগ্রেস নেতা দিল্লি গিয়ে জলসম্পদ ভবনের সামনে অবস্থানের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শুভঙ্কর। তিনি জানিয়েছেন, রাজধানীতে এই কর্মসূচি পালন করতে শামিল করা হবে জেলা কংগ্রেস সভাপতিদেরও। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের পরবর্তী কর্মসূচি হবে, প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী ও বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীকে চিঠি দেওয়া।’’ তার পরও কাজ না হলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামারও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি।