স্থানীয় সূত্রে খবর, মঙ্গলবার ইংরেজবাজার পুরসভার ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের ডগপুকুর এলাকায় একটি বিস্ফোরণ হয়। ওই এলাকার একটি চিকিৎসালয়ের বারান্দায় একা একা খেলছিল শিশুটি। আচমকা সেখানে বিস্ফোরণ হয়। স্থানীয়েরা জখম অবস্থায় ৬ বছরের বান্টিকে উদ্ধার করে। তড়িঘড়ি তাকে নিয়ে যাওয়া হাসপাতালে। বিস্ফোরণের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। আর ওই ঘটনার পরে শুরু হয়ে যায় রাজনৈতিক চাপানউতর।
ইংরেজবাজার পুরসভার ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার সুজিত সাহা বলেন, ‘‘একটি ৬ বছরের শিশুর হাত, পায়ে এবং মুখে আঘাত লেগেছে। তাকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ইংরেজবাজার থানার পুলিশ তদন্ত করছে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘পুলিশকে বলব, কোনও রাজনৈতিক রং না দেখে দোষীদের গ্রেফতার করুন।’’ অন্য দিকে, বিস্ফোরণ এবং বোমা মজুতের দায় শাসকদলের উপরেই চাপিয়েছে বিজেপি। মালদহ দক্ষিণ বিজেপির সাধারণ সম্পাদক অম্লান ভাদুড়ীর কটাক্ষ, ‘‘এত দিন আমরা দেখে এসেছি, এমন ঘটনা কালিয়াচকে ঘটতে। কিন্ত ইংরেজবাজারের বুকে বোমা বিস্ফোরণের কথা শুনিনি। এখন যেখানে-সেখানে বোমা মজুত করা হচ্ছে। সেই বোমা ফেটে বাচ্চারা আহত হচ্ছে।’’ বিজেপি নেতা আশঙ্কাপ্রকাশ করে জানান, যে জায়গায় বোমা ফেটেছে, তার খানিক দূরেই রয়েছে রেললাইন। নিত্যদিন সেখান দিয়ে দূরপাল্লার এবং পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল করে। যদি ট্রেন যাতায়াতের সময় ওই বিস্ফোরণ হত, তার পরিণাম আরও মারাত্মক হতে পারত। বিজেপি নেতার সংযোজন, ‘‘কিছু দিন ধরেই তৃণমূল হুঁশিয়ারি দিচ্ছে তারা বিরোধীদের রাজনীতি করতে দেবে না এই জেলায়। আমাদের সন্দেহ, বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বোমা মজুত করছে। সে গুলো তারা পরবর্তী সময়ে কাজে লাগাবে।’’
বিস্ফোরণের ঘটনায় যথেষ্ট চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। স্থানীয় বাসিন্দা রেশমি খাতুন বলেন, ‘‘বিকট শব্দে এলাকা কেঁপে উঠেছিল। আমরা আতঙ্কে রয়েছি। কোথা থেকে বোমা এল, কিছুই জানি না।’’ পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করেছে। তবে বিস্ফোরণের ঘটনায় এখনও কেউ আটক বা গ্রেফতার হয়নি। মালদহ জেলা পুলিশ সুপার প্রদীপকুমার যাদব বলেন, ‘‘তদন্ত শুরু হয়েছে। এখনই ওই ঘটনা নিয়ে কোনও মন্তব্য করব না।’’