এই উপনির্বাচনে জোটে নেই কংগ্রেস। তাই সোমবার পাঁচ আসনে প্রার্থী দিয়েছে বামফ্রন্ট। আর মঙ্গলবার হাড়োয়া আসনে প্রার্থী দেওয়া হয়েছে নওশাদের দলের তরফে। উল্লেখযোগ্য ভাবে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট ভেঙে গেলেও, একটি আসন ছাড়া হয়েছে সিপিএমএল-(লিবারেশন)-কে। নৈহাটি আসনে প্রার্থী হয়েছেন দেবজ্যোতি মজুমদার। এ ছাড়াও, কোচবিহারের সিতাই বিধানসভা কেন্দ্রে প্রার্থী হয়েছেন ফরওয়ার্ড ব্লকের অরুণকুমার বর্মা। আলিপুরদুয়ার লোকসভার অধীন মাদারিহাট বিধানসভা কেন্দ্রে প্রার্থী দিয়েছে বামফ্রন্টের শরিক আরএসপি। এই আসনে তাদের প্রার্থী পদ্ম ওঁরাও। এরপরেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল এই উপনির্বাচনে কংগ্রেসের সঙ্গ ছাড়াই এগোবে বামেরা। প্রার্থী দেওয়া প্রসঙ্গে নওশাদ বলেছেন, ‘‘আমাদের সঙ্গে বামফ্রন্টের আলোচনা হয়েছে। এখন যা পরিস্থিতি বিজেপি এবং তৃণমূলকে একযোগে হারাতে হবে। আমাদের ইচ্ছে ছিল, মাদারিহাট, তালড্যাংরায় প্রার্থী দেওয়ার। কিন্তু বৃহত্তর আঙ্গিকে বিজেপি এবং তৃণমূলকে হারাতে আমরা কেবল একটি আসনে প্রার্থী দিয়েছি। তা ছাড়া বামফ্রন্টের সব শরিক দলই এই উপনির্বাচনে একটি করে আসনে প্রার্থী দিয়েছে।’’
রবিবার ছয় বিধানসভা উপনির্বাচনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে তৃণমূল। তৃণমূলের তরফে সিতাই বিধানসভা কেন্দ্রে প্রার্থী হয়েছেন সঙ্গীতা রায়, মাদারিহাটে জয়প্রকাশ টোপ্পো, তালড্যাংরায় ফাল্গুনী সিংহবাবু, মেদিনীপুরে সুজয় হাজরা, হাড়োয়ায় শেখ রবিউল ইসলাম এবং নৈহাটিতে সনৎ দে। আর বিজেপির পক্ষে সিতাই বিধানসভা কেন্দ্রে প্রার্থী হয়েছেন দীপককুমার রায়। মাদারিহাট কেন্দ্রে পদ্মশিবিরের প্রার্থী রাহুল লোহার। নৈহাটিতে প্রার্থী করা হয়েছে রূপক মিত্রকে। হাড়োয়া বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থী বিমল দাস। মেদিনীপুরে বিজেপির টিকিটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন শুভজিৎ রায়। তালড্যাংরা কেন্দ্রে প্রার্থী করা হয়েছে অনন্যা রায় চক্রবর্তীকে। এ দিকে প্রদেশ কংগ্রেস সূত্রে খবর, শীঘ্রই ছয় আসনে প্রার্থী দেবে তারা। এখন তারা এআইসিসির সবুজ সঙ্কেতের অপেক্ষায়।