পরিকল্পনা করেই ‘আত্মহত্যা’? কৃষ্ণনগর কাণ্ডে FSL রিপোর্টের অপেক্ষায় পুলিশ
এই সময় | ২৩ অক্টোবর ২০২৪
ঘটনার ছ’দিন পরেও কৃষ্ণনগরের তরুণীর মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েই গেল। তবে পুলিশি তদন্ত খানিকটা আত্মহত্যার দিকেই ইঙ্গিত করছে বলে জানা গিয়েছে। জেলা পুলিশের একটি সূত্রে খবর, কিছুটা পরিকল্পনা করেই ঝোঁকের বসে তরুণী আত্মহত্যা করেছে। সে নিয়ে ফোনে, হোয়াটসঅ্যাপে কথাও হয়েছে কয়েকজনের সঙ্গে। বিষয়টি নিয়ে কিছু প্রমাণ উঠে এসেছে পুলিশের হাতে।পুলিশ সুপার অমরনাথ কে এই সময় অনলাইনকে বলেন, 'কিছু সাক্ষ্য প্রমাণ আমরা পেয়েছি আত্মহত্যা করার বিষয়ে। তবে, নিশ্চিত ভাবে বলা যাবে ফরেন্সিক রিপোর্ট আসার পরেই।' পুজো প্যান্ডেলের কাছেই ওই তরুণী অগ্নিদগ্ধ হয়েছিলেন বলে নিশ্চিত পুলিশ। তবে এরপরেও প্রশ্ন থেকে যায়, তরুণী নিজে থেকে ওখানে গায়ে আগুন দিলে চিৎকার বা ছোটাছুটি করলেন না কেন? স্থানীয় কেউ প্রথমদিন থেকে এরকম কোনও দৃশ্য দেখা গিয়েছে বলে জানাননি। জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, 'অনেক সময়ই গায়ে আগুন লাগলে তিনি নিউরোজনিক শক পান। যার ফলে ছোটাছুটি করতে পারেন না। মুখের উপরের অংশে আগুন লাগলে বা লাগানো হলে চিৎকার নাও করতে পারেন।'
মঙ্গলবার পর্যন্ত একাধিক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। কৃষ্ণনগর শহরের একাধিক সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করা হয়েছে। ফরেন্সিক ও কেমিক্যাল এক্সপার্ট টিম এসে ঘটনাস্থলে নমুনা সংগ্রহ করেছে। আগামীতে ফরেন্সিক রিপোর্ট আসার পরেই স্পষ্ট হয়ে যাবে যুবতীর মৃত্যুর কারণ বলেই মনে করছেন তদন্তকারীরা।
অন্যদিকে, যে গলিতে কৃষ্ণনগরের তরুণীর অগ্নিদগ্ধ মৃতদেহ মেলে, সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, রাত ১০টা ৪০ নাগাদ সেখানে উপস্থিত হন ওই তরুণী। একটি মোটরবাইকে এক জোড়া তরুণ-তরুণীকে তাঁর পিছু নিতেও দেখা যায়। বেশ কিছুক্ষণ পরে তাঁরা ফিরলেও ছাত্রীকে আর ফিরতে দেখা যায়নি। ওই তরুণ-তরুণীর পরিচয় জানারও চেষ্টা করছেন তদন্তকারী অফিসাররা।