• ক্ষত আর সারে না ওঁদের, ফি বছর ঝড়ে ওলটপালট জীবন
    এই সময় | ২৩ অক্টোবর ২০২৪
  • নদীর ধারে বাস, তাই ভাবনাও বারো মাসের সঙ্গী। প্রাকৃতিক বিপর্যয় এলেই সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ এলাকার বাসিন্দাদের বুক ধুকপুক শুরু হয়ে যায়। তাঁদের আশঙ্কা, আবার তছনছ হবে ঘরবাড়ি, জীবন-জীবিকা! মে মাসেই এসেছিল ঘূর্ণিঝড় রেমাল। লন্ডভন্ড করেছে সুন্দরবনের হিঙ্গলগঞ্জ। 'দানা'র ডানা ঝাপটানোর ইঙ্গিত আসতেই সিঁদুরে মেঘ দেখা শুরু এলাকার বাসিন্দাদের।বঙ্গোপসাগরে তৈরি হয়েছে নিম্নচাপ। গভীর নিম্নচাপের পর তা ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নেবে বলেই এখনও অবধি হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস। ঘূর্ণিঝড়ের দাপট উপকূলবর্তী জেলায় কতটা হবে তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে নিম্নচাপের জেরে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হওয়ার কথা সাগর তীরবর্তী জেলাগুলিতে।

    উপকূলবর্তী সুন্দরবনের হিঙ্গলগঞ্জের উপরও এই ঘূর্ণিঝড় যথেষ্ট আঘাত আনতে পারে বলে আশঙ্কা করা হয়েছে। এই ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার আগেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন হিঙ্গলগঞ্জের দুলদুলি, সাহেবখালি-সহ বিস্তীর্ণ এলাকার কয়েক হাজার মানুষ। এলাকার বাসিন্দাদের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে নদী বাঁধ সংস্কার হয় না। ফলে সামান্য ঝোড়ো হাওয়া দিলেও উদ্বেগে থাকতে হয়।

    হিঙ্গলগঞ্জের রায়মঙ্গল, কালিন্দীর মতো নদীগুলির বাঁধ বেহাল। কোথাও নদীবাঁধে ফাটল দেখা দিয়েছে, কোথাও আবার বাঁধেরই সলিল সমাধি হয়েছে। এলাকার লোকজনের দাবি, বাঁধের এমন বেহাল দশা, ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়লে ধুয়ে মুছে সাফ করে দেবে সব। ঘর বাড়ি ভাসার পাশাপাশি চাষাবাদও পড়বে বড়সড় ক্ষতির মুখে।

    মঙ্গলবার হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকের বিভিন্ন জায়গায় মাইকিং চলছে। এলাকাবাসীদের সতর্ক করছে, নিরাপদ স্থানে গিয়ে থাকার অনুরোধ জানাচ্ছে প্রশাসন। মৎস্যজীবীদের জন্য বিশেষ সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে। রায়মঙ্গল নদীর তীরবর্তী এলাকাতেও এদিন সতর্কপ্রচার করা হয়। বিপর্যয় মোকাবিলায় সবব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
  • Link to this news (এই সময়)