ঘটনাটি ঠিক কী? আজ, মঙ্গলবার ভাতারে বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করেছিল ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস।তত্ত্বাবধানে ছিলেন বিধায়ক মানগোবিন্দ অধিকারী। তখনও অনুষ্ঠানে শুরু হয়নি। বর্ধমান কাটোয়া রাজ্যসড়ক ধরে অনুষ্ঠানস্থলের দিকে যাচ্ছিলেন দলের কর্মী-সমর্থকরা। হঠাত্ দেখা যায়, নাসিগ্রাম মোড়ের কাছে তুমুল হই-হট্টগোল, ঠেলাঠেলি! রাস্তায় তীব্র যানজট।
বিধায়ক নিজে গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু ধাক্কাধাক্কি দেখে দ্রুত তাঁকে ভিড় করে বের করে নিয়ে যান কয়েকজন তৃণমূলকর্মী। এরপর মিছিল করে নসিগ্রাম মোড় থেকে মিছিল করে অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছন ভাতার ব্লকে তৃণমূলের সহ-সভাপতি অশোক হাজরার বেশ কয়েকজন অনুগামী।
এদিকে মঞ্চে ওঠার পরেই রীতিমতো উত্তেজিত ছিলেন ব্লক সহ-সভাপতি। তাঁকে শান্ত করেন ব্লক সভাপতি। এরপর শুরু হয় সাংস্কৃতি অনুষ্ঠান। সন্ধ্যার মুখে শেষ হয় বিজয় সম্মিলনী, তাও আবার বক্তৃতা পর্ব ছাড়াই! ভাতারের বিধায়কের দাবি, 'বিজয়া সম্মিলনী একটা মিলনের অনুষ্ঠান। আনন্দের বিষয়। তাই আমরা প্রথম থেকেই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করব বলে ঠিক করেছিলাম। বক্তৃতা পূর্ব রেখে অনুষ্ঠান দীর্ঘায়িত করতে চাইনি। অনুষ্ঠান সুষ্ঠভাবে হয়েছে। বাইরে কি ঘটেছে সঠিক জানি না'।
তৃণমূল সূত্রে খবর, বেশ কয়েক দিন ধরেই তৃণমূলের ব্লকের সহ-সভাপতির সঙ্গে নাকি দলের একাংশের মনোমালিন্য চলছে! যা বিজয়া সম্মিলনীতে প্রকাশ্যে চলে এল। অশোক হাজরা বলেন 'বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানে প্রচুর জনসমাগম হয়েছিল। অত্যধিক ভিড়ের কারণে সামান্য বিশৃঙ্খলা হয়েছিল। তবে তারপর সুষ্ঠভাবে অনুষ্ঠান হয়েছে'।