ঘটনাটি ঠিক কী? বিধায়করা এখন সাংসদ। কালীপুজো মিটলেই রাজ্যের ৬ বিধানসভায় উপনির্বাচন। কবে? ১৩ নভেম্বর। প্রথমে বিজেপি, তারপর উপনির্বাচনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করে তৃণমূল। প্রচার চলছে জোরকদমে।
কোচবিহারের সিতাইয়ের বিধায়ক ছিলেন জগদীশ বসুনিয়া। চব্বিশে লোকসভা ভোটে কোচবিহার কেন্দ্র থেকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তথা অমিত শাহের 'ডেপুটি' নিশীথ প্রামাণিককে হারিয়ে দিয়েছেন তিনি। ফলে উপনির্বাচন হবে সিতাই কেন্দ্রেও। উপনির্বাচনে এবার বিজেপি প্রার্থী দীপককুমার রায়।
এদিন সেই সিতাইয়েই তৃণমূলের বিজয়া সম্মিলনীতে তৃণমূল সাংসদ বলেন, 'যে বুথ থেকে তিনি প্রার্থী, যে বুথে তাঁর ভোট, সেই বুথ থেকে দীপক রায় কোনওদিন জেতেননি। এবার জিতবে না, সেটা সিওর। শুধু জিতবেন না নয়, সেই বুথে যেন তাঁর পোলিং এজেন্ট না দেয়, এমন ব্য়বস্থা আমাদের করতে হবে'।
কী প্রতিক্রিয়া রাজনৈতিক মহলে? শিলিগুড়ি বিজেপি বিধায়ক শংকর ঘোষ বলেন, একজন জনপ্রতিনিধি, সাংসদ, আইনসভার সদস্য যখন আইন ভাঙার কথা বলেন, এবং সরাসরি নির্বাচনে বিরোধী দলের পোলিং এজেন্টদের বসতে না দেওয়ার হুমকি। আসলে নির্বাচন প্রক্রিয়াকে সুষ্ঠুভাবে না করবার প্রচ্ছন্ন হুমকি দেওয়ার পাশাপাশি নির্বাচন প্রক্রিয়াটাকে বিঘ্নিত করবার কথা তিনি বলেছেন। আমি অবাক হচ্ছি, নির্বাচন কমিশন এখনও তিনি কেন গ্রেফতার হবেন না, এই প্রশ্ন তুলছে না। এর থেকে প্রমাণিত হয়, পশ্চিমবঙ্গে উপনির্বাচনগুলোতে নির্বাচন কমিশনের যে ভূমিকা পালন করা উচিত, তাদেরও নিজেদের অভ্যন্তরণে সমীক্ষা করার দরকার রয়েছে'।