তখনও হৃত্পিণ্ড সচল দেখে প্রাথমিক চিকিৎসা তারা নিজেরাই করেন তারপর ফুলিয়া প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র এরপর রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখান থেকেই প্রাণ ফিরে পান ওই যুবক। রাজ্যে পুলিশে সিভিক নিয়োগ নিয়ে যখন বিতর্ক চরমে, তখন সেই সিভিকের তৎপরতাতেই প্রাণে বাঁচলেন এক যুবক। সূত্রের খবর, শান্তিপুর থানার ফুলিয়া ফাঁড়ির পুলিস ২০ তারিখ রাতে খবর পায় ফুলিয়া এলাকার বাসিন্দা এক যুবক মানসিক বিপর্যস্ত হয়ে ভুল পদক্ষেপ নিতে চলেছে। এরপরই ফুলিয়া ফাঁড়িতে কর্মরত ২ সিভিককে বিষয়টি দেখতে পাঠান ফুলিয়া ফাঁড়ির পুলিশ।
পুলিস সূত্রে খবর, ওই দুই সিভিক ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখেন ঘরের দরজা বন্ধ করে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছে এক যুবক। সঙ্গে সঙ্গে উপস্থিত বুদ্ধি খাটিয়ে তড়িঘড়ি দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে ওই যুবককে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করেন তাঁরা। তারপর গলার ফাঁস খুলে দিয়ে বুকে পাম্প করে ও মাউথ ব্রিদিং পদ্ধতি অবলম্বন করে জ্ঞান ফিরিয়ে আনেন। এরপর তড়িঘড়ি ওই যুবককে প্রথমে ফুলিয়া হাসপাতাল ও পরে রানাঘাট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে সুস্থ আছেন ওই যুবক। একদিকে যখন সিভিক নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন এক শ্রেণির মানুষ, তখন ২ সিভিকের উপস্থিত বুদ্ধি ও তৎপরতায় এক যুবকের প্রাণরক্ষার ঘটনা এক অন্য নজির সৃষ্টি করল।