নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্য়মন্ত্রী বলেন, 'এটা ঘুর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে, এমন একটা আশঙ্কা করা হচ্ছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ঘুর্ণঝড়ে পরিণত হলে সেটা শক্তি বাড়িয়ে, বড় একটা ঘুর্ণিঝড় হিসেবে ২৪ অক্টোবর রাত থেকে ২৫ অক্টোবর সকালের মধ্য়ে পুরী এবং সাগরদীপে যেকোনও জায়গায় ল্য়ান্ডফল হবে। তখন হাওয়ার গতি ১০০ থেকে ১১০ থাকবে। কোথাও কোথাও ১২০-ও হতে পারে'।
মুখ্যমন্ত্রী জানান, 'এই ঘুর্ণিঝড়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, উত্তর ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর। এছাড়াও পার্শ্ববর্তী জেলাগুলি যেখানে প্রভাব পড়তে পারে। কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম। এই সাত জেলায় খুব বেশি প্রভাব পড়তে পারে। কারণ, ভারী বৃষ্টি হবে, সাথে দমকা হাওয়া। মুখ্য়সচিব যাঁদের যাঁদের সঙ্গে মিটিং করার.. এমনকী রাস্তায় ম্যানেজমেন্ট থেকে শুরু করে KMC, লাইট ডিপার্টমেন্ট, উপকূলরক্ষী বাহিনী, সেনা, NDRFসবাইকে মিয়ে মিটিং করেছেন'।
দুর্যোগ মোকাবিলায় কী পদক্ষেপ? মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'সতর্কতামূলক ব্য়বস্থা হিসেবে মত্স্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে মানা করা হয়েছে। মাইকিং করা হচ্ছে। ডিএম, এসপিদের নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে, যাঁরা নিচু এলাকায় থাকেন, তাঁদের সরিয়ে...প্রতিবার সাইক্লোন হলে যেমন করি, বাংলায় সাইক্লোন বেশি হয়, কারণ বাংলা নদীমাতৃকার দেশ। সমুদ্রে ধারে পর্যটকদের গতিবিধিও নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। কারণ, আসার কথা ২৪-র রাতে, কিন্তু আসার আগে একটা দোলা দিয়ে যায়। উপকূলবর্তী ও সংলগ্ন এলাকায় ফেরিও চলাচলও বন্ধ থাকবে। যতক্ষণ না পর্যন্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাচ্ছে'।