এই সময়, ঘাটাল: কেউ মারা গেলে দাহ করার স্থায়ী শ্মশান ছিল না। কারও মৃত্যু হলে দাহ করতে ছুটতে হতো এখানে ওখানে। গ্রামবাসীদের এই সমস্যা দেখে নিজের পকেটের পয়সা খরচ করে মায়ের স্মৃতিতে শ্মশান তৈরি করে দিলেন পেশায় কৃষক সুব্রত ঘোষাল। পশ্চিম মেদিনীপুরের ইড়পালা এলাকায় প্রায় আট লক্ষ টাকা খরচ করে স্থায়ী শ্মশান বানিয়ে দিয়েছেন তিনি।সুব্রত বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে দেখছি এখানে স্থায়ী শ্মশান নেই। ফাঁকা জায়গায় মৃতদেহ দাহ করতে হয়। বর্ষার সময়ে বা বন্যা হলে মৃতদেহ নিয়ে প্রচণ্ড সমস্যায় পড়তে হয়। ভাবলাম, যদি দাহকার্যের ব্যবস্থা ও শেড করে দেওয়া যায় তা হলে গ্রামের মানুষের উপকার হবে। তাই মায়ের স্মৃতির উদ্দেশে শ্মশান তৈরি করে দিলাম।’
ঘাটালের ইড়পালা হড়পুকুরের ধারে কালীমন্দিরের পাশে তৈরি হয়েছে এই শ্মশান। গ্রামের বাসিন্দা পেশায় চিকিৎসক সঞ্জয় চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘আমাদের গ্রামে এটা দীর্ঘদিনের সমস্যা। এই শেড-সহ শ্মশান তৈরি হওয়ায় গ্রামের মানুষকে আর সেই সমস্যার মধ্যে পড়তে হবে না।’ কালীমন্দিরের পুরোহিত পিন্টু ভট্টাচার্য বলেন, ‘এখানে প্রশাসন উদ্যোগ নিয়ে শ্মশান তৈরি করেনি। সুব্রতর এমন উদ্যোগে আমরা সবাই খুশি।’
ব্যক্তিগত উদ্যোগে শ্মশান তৈরি নিয়ে ইড়পালা গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি প্রধান বাসন্তী পড়্যা বলেন, ‘এখানে শ্মশান, রাস্তাঘাট কিছুই ছিল না। আমরা পঞ্চায়েতে ক্ষমতায় এসে শ্মশান, রাস্তাঘাট তৈরির জন্য প্রস্তাব জমা দিয়েছি। তবে সুব্রত ঘোষাল যা করেছেন, তা খুবই ভালো। এগুলি প্রশাসনেরই করার কথা।’
পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি বিকাশ কর বলেন, ‘তৃণমূল ক্ষমতায় এসে গ্রামে প্রচুর শ্মশান, রাস্তাঘাট করেছে। আরও করা হবে। কেউ যদি মায়ের স্মৃতিতে শ্মশান তৈরি করেন, তা প্রশংসার যোগ্য।’