ফুঁসছে সমুদ্র, ‘দানা’র তাণ্ডবের আশঙ্কায় দিঘায় হোটেল খালির নির্দেশ প্রশাসনের
এই সময় | ২৩ অক্টোবর ২০২৪
বঙ্গোপসাগরে শক্তি বাড়াচ্ছে 'দানা’। সাগরে ঘনীভূত হচ্ছে গভীর নিম্নচাপ। পর্যটকদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে দিঘায় বুধবার বেলা ১২টার মধ্যে হোটেলগুলি খালি করে দেওয়ার নির্দেশ দিল জেলা প্রশাসন।মঙ্গলবার সন্ধ্যায় একটি বৈঠক করে জেলা প্রশাসন। বৈঠকে ছিলেন জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি, কাঁথির মহকুমা শাসক তথা দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের কার্যনির্বাহী আধিকারিক সৌভিক চট্টোপাধ্যায়-সহ দিঘা শঙ্করপুর হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিরাও। সেখানেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বুধবারের মধ্যে হোটেল খালি করে দিতে হবে পর্যটকদের। এমনকী শুধু দিঘা নয়, পূর্ব মেদিনীপুরের অন্যান্য সমুদ্র উপকূলবর্তী পর্যটন কেন্দ্র শঙ্করপুর, মন্দারমণি, তাজপুরের হোটেলগুলির জন্য একই নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার জোয়ারের সময় সমুদ্রের রূপ দেখার জন্য সৈকত এলাকায় হাজির হয়েছিলেন প্রচুর পর্যটক। কিন্তু দুর্ঘটনার আশঙ্কায় তড়িঘড়ি বেলাভূমি এলাকা দড়ি দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়। সমুদ্র স্নানে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। ইতিমধ্যেই সমুদ্র তীরবর্তী অঞ্চলে বসবাসকারী প্রচুর মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। মাইকিং করা হচ্ছে এলাকায় এলাকায়।
মঙ্গলবারই বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে। বুধবার সেটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে আছড়ে পড়তে পারে ওড়িশা এবং বাংলার উপকূলে। আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১২০ কিলোমিটার ঝড় হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে উপকূলবর্তী এলাকায়। সেই কারণে সমুদ্র উপকূলবর্তী পর্যটনস্থানগুলিতে বাড়তি নজর দেওয়া হচ্ছে। বুধবার বেলা ১২টার মধ্যে যাতে পর্যটকরা হোটেল ছেড়ে দেন, সে ব্যাপারে হোটেল মালিকদের নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। পর্যটকেরা যাতে কোনও হোটেলেই না-থাকতে পারেন তা নিশ্চিত করতে প্রশাসনের তরফে অভিযান চালানো হবে বলেও জানিয়ে দেন জেলাশাসক।