গত পাঁচ বছর ধরে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের অধীনস্থ বেলঘরিয়া থানায় অস্থায়ী হোমগার্ডের চাকরি করছেন কাশীনাথ। তিনি হাওড়ার ডোমজুর এলাকার বাসিন্দা। গত ২১ অগস্ট আরজি করের ঘটনার বিচার চেয়ে তিনি তাঁর ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছিলেন। কাশীনাথের দাবি, ভিডিয়োটি পোস্ট করার পর থেকেই তাঁকে নানা রকম ভাবে হুমকি দেওয়া হয়। তাঁকে নানা ভাবে হেনস্থা, মানসিক নির্যাতনও করেন পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকেরা। পোস্টটি তুলে নেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হয় বলেও তাঁর অভিযোগ। কাশীনাথ আরও দাবি করেছেন, পোস্টটি তিনি সমাজমাধ্যমের অ্যাকাউন্ট থেকে না মোছায় অক্টোবর মাসের প্রথম সপ্তাহে কোনও অভিযোগ ছাড়াই দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁকে। এর পর গত ১০ অক্টোবর কোনও কারণ না দেখিয়ে তাঁকে চাকরি থেকে সাসপেন্ড করা হয়। তার পর গত ১৪ অক্টোবর হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন কাশীনাথ।
কাশীনাথ জানিয়েছেন, চাকরির পাশাপাশি তিনি নিয়মিত সমাজমাধ্যমে নিজের নাচ-গানের ভিডিয়ো করে পোস্ট করতেন। আরজি করের ঘটনায় বিচলিত হয়ে তা নিয়ে সমাজমাধ্যমে পোস্ট দিয়েছিলেন। তাঁকে চাকরি থেকে বসিয়ে দিয়ে তাঁর মৌলিক অধিকারে হস্তক্ষেপ করা হয়েছে বলেও দাবি করেন কাশীনাথ। যদিও ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট সূত্রে দাবি করা হয়েছে, কর্তব্যে গাফিলতির কারণেই তাঁকে কাজ থেকে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে।