আজ, মঙ্গলবার প্রায় দু’কোটি টাকার সোনার বিস্কুট উদ্ধার করল কেন্দ্রীয় রাজস্ব গোয়েন্দা দফতর তথা ডিআরআই। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে জাল বিছিয়ে রাখেন গোয়েন্দারা। আর সেই জালেই ধরা পড়ে যায় ভিন রাজ্যের পাচারকারী যুবক। পাচারের আগেই অভিযান চালিয়ে তাকে ধরে ফেলা হয়। এই ভিন রাজ্যের এক যুবককে গ্রেফতার করল কেন্দ্রীয় রাজস্ব গোয়েন্দা দফতর তথা ডিআরআই। এখন তাকে দফায় দফায় জেরা করা চলছে। তবে এই যুবক কোথা থেকে বিপুল পরিমাণ সোনার বিস্কুট নিয়ে আসছিল সেটা জানতে চান গোয়েন্দারা। শুধু তাই নয়, এগুলি কাকে দেওয়ার কথা ছিল সেটাও জানার চেষ্টা চলছে।
ভিন রাজ্যের ওই যুবক পরনের ট্রাউজারের গোপন পকেটে সোনার বিস্কুট লুকিয়ে সরকারি বাসে করে যাচ্ছিল। কিন্তু তার কাছে যে এমন দু’কোটি টাকা মূল্যের সোনার বিস্কুট আছে সেটা কেউ একবারের জন্যও বুঝতে পারেননি। কিন্তু গোয়েন্দাদের কাছে এই খবর পৌঁছে যায়। ওই বিপুল পরিমাণ সোনা পাচারের পরিকল্পনা করেছিল ভিন রাজ্যের পাচারকারী যুবক। তাকে শিলিগুড়ি সংলগ্ন জলপাইগুড়ি জেলার হুসলুডাঙ্গা টোল প্লাজার কাছে ২৭ নম্বর জাতীয় সড়কের কাছে ধরে ফেলা হয়।
এই যুবক আগেও এমন পাচারের কাজ করেছে বলে জেরায় স্বীকার করেছে। এই সোনার বিস্কুট পাচারের পিছনে আরও বড় প্রভাবশালী মাথা আছে বলে গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন। কিন্তু নাম এখনও জানতে পারেননি। কারণ যে এই পাচারের মাস্টারমাইন্ড তার আসল নাম ভিন রাজ্যের পাচারকারী যুবক জানে না। তার পিছনে আবার আছে সেই প্রভাবশালী ব্যক্তি। যিনি এই কাজ করাচ্ছেন পাচারকারী দিয়ে। এটুকু গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন এই সোনার বিস্কুট আসছে দুবাই থেকে। আর তা কোন পথে এই রাজ্যে ঢুকছে সেটা এখনও জানা যায়নি। গোটা বিষয়টি নিয়ে আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। তদন্ত চলছে।
এদিন গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে ওই সাফল্য পায় ডিআরআইয়ের শিলিগুড়ি শাখা। সরকারি আইনজীবী রতন বনিক জানান, ধৃত যুবকের নাম গৌরব সাহা । ধৃত অসমের ধুবরির বাসিন্দা। তার কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে ১৯টি সোনার বিস্কুট। যার মোট ওজন দু’কেজি ২১৫ গ্রাম। আর সোনার বিস্কুটগুলির বাজারমূল্য ১ কোটি ৭২ লক্ষ ৫৮ হাজার টাকা। সোনাগুলি বিদেশি সোনা। ধৃত সোনার বিস্কুটের কোনও বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। আজ মঙ্গলবার শিলিগুড়ি আদালতে তাকে তোলা হলে তার জামিনের আবেদন খারিজ করে পুনরায় ৪ তারিখ আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।