গত লোকসভা নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকার ফলে বহু স্কুল কর্তৃপক্ষ একাধিক সমস্যার অভিযোগ তুলেছিলেন। এরফলে যেমন পড়ুয়াদের পঠন-পাঠনে ক্ষতি হওয়ার অভিযোগ করেছিলেন তেমনি স্কুলের পরিবেশ নষ্ট হওয়া বা প্রচুর পরিমাণে বিদ্যুতের বিল আসার অভিযোগ তুলেছিলেন শিক্ষকেরা। আর এর জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনীকেই দায়ী করেছিলেন তাঁরা। তাই লোকসভা থেকে শিক্ষা নিয়ে বিধানসভা উপনির্বাচনে স্কুলে আর কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখার পক্ষে নন স্কুল শিক্ষক এবং কর্তৃপক্ষ। এবার নৈহাটি বিধানসভা উপনির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখার বিষয়ে আপত্তি জানাল একটি হাই স্কুল। ইতিমধ্যেই সেই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা এসডিও’র কাছে কেন্দ্রীয় বাহিনী না রাখার জন্য আর্জি জানিয়েছেন।
জানা গিয়েছে, এবার উপ নির্বাচনে নৈহাটির বড় চারটি স্কুলে কেন্দ্রীয় বাহিনী আসবে বলে বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে। তার মধ্যে এই স্কুলটিও রয়েছে। স্কুলের প্রধান শিক্ষিকার অভিযোগ, গত লোকসভা নির্বাচনে সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী ছিল। তবে কেন্দ্রীয় বাহিনী ছেড়ে চলে যাওয়ার পরে কার্যত লন্ডভন্ড দশা ছিল স্কুলের। ক্লাসরুমের ভিতরে কোথাও পড়েছিল মদের খালি বোতল তো কোথাও বেঞ্চ ভাঙা ছিল। আর তা নিজেদের টাকা খরচ করেই মেরামত হয়েছে। এছাড়াও, একটি গাছ কাটা ছিল। তাই উপ নির্বাচনে স্কুলে কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখতে আপত্তি জানান তিনি।
জানা গিয়েছে, সোমবার নৈহাটির ওই শিক্ষিকা বারাকপুরের মহকুমাশাসক সৌরভ বারিকের কাছে নিজের আপত্তির কথা জানিয়ে আবেদন করেছেন। এবিষয়ে সৌরভবাবু জানান, নির্দিষ্ট জায়গায় আবেদন জমা দেওয়া হবে। প্রধান শিক্ষিকার অভিযোগ, কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা স্কুলে থাকলে পরিবেশ নষ্ট হয়ে যাবে।
উল্লেখ্য, আগামী ১৩ নভেম্বর রাজ্যের ৬ টি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন রয়েছে। তার মধ্যে একটি কেন্দ্র হল নৈহাটি। শুধুমাত্র নৈহাটি কেন্দ্রে উপ নির্বাচনে জন্য ১৪ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আগামী ২৪ তারিখ আসবে। তাদের ওই চারটি স্কুলে রাখার পরিকল্পনা করেছে নির্বাচন কমিশন। তারা স্ট্রং রুম পাহারা দেওয়ার পাশাপাশি এলাকায় রুট মার্চ করবেন।
এদিকে, নৈহাটিতে গণনা কেন্দ্র কোন স্কুলকে করা হবে তা নিয়ে এখনও জট অব্যাহত রয়েছে। পানপুরের মাখনলাল হাইস্কুলে প্রাথমিকভাবে গণনা কেন্দ্র হবে বলে ঠিক করা হলেও বিরোধীরা আপত্তি জানান। নির্বাচন কমিশন এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানিয়েছেন এসডিও।