• মালগাড়ি দাঁড়িয়ে রেলগেটের সামনেই, কাটোয়ায় তীব্র যানজটে চরম ভোগান্তি
    বর্তমান | ২৩ অক্টোবর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, কাটোয়া: চার জেলার মধ্যস্থল হিসাবে কাটোয়া শহরের গুরুত্ব ক্রমশ বাড়ছে। সেই কাটোয়া শহরের মূল প্রবেশ পথেই বাধা হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে রেলগেট। সারাদিনে রেলগেট দেড়শো বার বন্ধ করতে হচ্ছে। কার্যত চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে প্রায় ১২ ঘন্টা বন্ধ থাকছে রেলগেট। তার উপরে মঙ্গলবার কাটোয়া রেলগেটে মালগাড়ি দাঁড়িয়ে রইল কুড়ি মিনিট। ওই মালগাড়ির কেউ উপর দিয়ে আবার কেউ নীচ দিয়ে বিপজ্জনক ভাবে পারাপার করলেন। তীব্র যানজটের সৃষ্টি হল। এতে নাকাল হতে হয় সাধারণ মানুষ থেকে অ্যাম্বুলেন্সের রোগীকে। 

    যদিও কাটোয়া স্টেশনের এক অফিসার বলেন, মালগাড়ির লাইন পরিবর্তন করার সময়ে একটি ডাউন লোকাল ট্রেনকেও একই সময়ে পাশ করাতে হয়েছিল। তাই সমস্যা তৈরি হয়েছিল। 

    এদিন দুপুর দুটো নাগাদ কাটোয়া রেলগেটে কাটোয়া স্টেশন থেকে ব্যান্ডেলের দিকে একটি মালগাড়িকে নিয়ে যাওয়া হয়। মালগাড়িটিকে লাইন পরিবর্তন করিয়ে আবার কাটোয়া স্টেশনে ফেরত আনা হতো। কিন্তু আচমকা মালগাড়িটিকে কাটোয়া রেলগেটে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। তারপরেই তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। অনেককেই মালগাড়ির নীচ দিক দিয়ে অতিক্রম করতে দেখা যায়। স্থানীয়দের একাংশ জানান, এরকম প্রায়ই করে কাটোয়া স্টেশন ম্যানেজমেন্ট। রেলগেটেই দাঁড় করিয়ে দেওয়া হচ্ছে মালগাড়িকে। রেলের নজরদারির অভাবে যেকোনও সময় বড়সড় বিপদ ঘটে যেতে পারত। শুধু তাই নয়, রেলের অপদার্থতার জন্য চারটি অ্যাম্বুলেন্স যানজটে আটকে পড়ে। মুমূর্ষ রোগীরা হাঁসফাঁস করতে থাকেন। 

    রেলগেটের জন্য শহরে ঢুকতে কার্যত যুদ্ধ চালাতে হয় বাসিন্দাদের। বছরের পর বছর আসে যায়। প্রতিশ্রুতি মেলে হাজারো, কিন্তু রেলগেটে ফ্লাইওভার আর গড়ে ওঠে না। সেই তিমিরেই থেকে যায়। অসুস্থ মানুষ বন্ধ রেলগেটের দু’পাশে অ্যাম্বুলেন্সে শুয়ে যন্ত্রণায় কাতরাতে থাকেন রোগীরা। ব্যান্ডেল-কাটোয়া শাখায় সারাদিনে ২১ জোড়া ট্রেন যাতায়াত করে। পাশাপাশি কাটোয়া-বর্ধমান, কাটোয়া-আমোদপুর, কাটোয়া-আজিমগঞ্জ শাখা দিয়ে মোট ৫৩ জোড়া ট্রেন যাতায়াত করে। এখন গোদের উপর বিষফোঁড়া হয়েছে মালগাড়ি পাশ করানো। এর আগে কেন্দ্রের প্রাক্তন রেলমন্ত্রী রামবিলাস পাসওয়ান থেকে শুরু করে লালুপ্রসাদ যাদব, প্রাক্তন রেলের রাষ্ট্রমন্ত্রী অধীর চৌধুরী দপ্তরের অনুষ্ঠানে কাটোয়ায় এসে উড়ালপুলের বিষয়ে আশ্বাস দিয়েছিলেন। তবুও কোনও কাজ হয়নি।
  • Link to this news (বর্তমান)