• ছোট ছাত্রদের নিরাপত্তায় গ্রামবাসীরা স্কুলের চারপাশে বাঁশের বেড়া দিলেন
    বর্তমান | ২৩ অক্টোবর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, মানবাজার: ২০১৫ সালে পুরুলিয়ার মানবাজার ১ নম্বর ব্লকের ছোটোসাগেন গ্রামে তৈরি হয়েছিল প্রাথমিক বিদ্যালয়। গ্রামবাসীদের দান করা ফাঁকা জমিতে তৈরি হয়েছিল স্কুল ভবন। কিন্তু স্কুল তৈরির নয় বছর পেরিয়ে গেলেও স্কুলের পাঁচিল তৈরি করা হয়নি এখনও। পাঁচিল না থাকায় সমস্যা হচ্ছিল স্কুলের। সমস্যার সাময়িক সুরাহা করতে গ্রামবাসীরা নিজেদের উদ্যোগে বাঁশ দিয়ে অস্থায়ীভাবে বেড়া দেওয়া হল স্কুলে। 

    মানবাজার ৩ নম্বর চক্রের ছোটোসাগেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঁচিল না থাকায় অনেক সময় ছোট ছোট পড়ুয়ার এদিক-ওদিক চলে যায়। অভিভাবকদের দাবি, স্কুলের সামনে ঝোপঝাড়, জলাশয় আছে। অনেক সময় ছোটরা সেখানে চলে যায়। ফলে স্কুলে পাঁচিল থাকাটা জরুরি। তাছাড়া স্কুলের শিক্ষকরা পড়াশোনার পাশাপাশি সামাজিক উন্নতির কথা ভাবেন। বিভিন্ন সংস্থার থেকে স্কুলে বিভিন্ন রকম শাক সব্জির চারা তৈরি করে চাষিদের বিতরণ করেন। প্রাচীর না থাকায় চত্বরে ঢুকে সেই চারাগুলি অনেক সময় গোরু-ছাগল খেয়ে নেয়। 

    ছোটোসাগেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক পার্থ রায় জানান, স্কুলে পাঁচিল নেই। বিষয়টি ব্লক অফিসে জানানো হয়েছে। প্রাচীর না থাকায় অনেক সময় অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়। পাঁচিল থাকলে ছাত্র-ছাত্রীরা স্কুলের ভেতরে আবদ্ধ থাকে। কিন্তু তা না থাকায় অনেক সময় বাইরে চলে যাওয়ার ভয় থাকে। তাছাড়াও স্কুলে অনেক সময় কুকুর, গোরু-ছাগল ঢুকে মিড ডে মিলের জন্য চাষ করা সব্জি খেয়ে নেয়। অভিভাবকরা নিজেদের উদ্যোগে স্কুলটিকে বাঁশের বেড়া দিয়ে ভালোভাবে ঘিরে দিয়েছে। তাতে অনেকটাই সুবিধা হবে।  

    ছোটসাগেন গ্রামের বাসিন্দা আঘনি সিং, লফর সিংরা বলেন, স্কুলে পাঁচিল না থাকায় ছোটদের নিরাপত্তার সমস্যা হচ্ছিল। তাই আমরা সকলে মিলে বাঁশ কেটে অস্থায়ীভাবে স্কুলের চারপাশে বেড়া দিয়েছি। এতে ছেলেমেয়েরা স্কুল চলাকালীন স্কুলের ভেতরে থাকতে পারে। তাছাড়া স্কুলের ভিতরে অনেক আনাজের বাগান আছে, সেগুলো রক্ষার জন্য এই বেড়া খুব কাজে দেবে। আমরা সাময়িক একটা ব্যবস্থা নিয়েছি। এখন চাই প্রশাসন স্থায়ীভাবে পাঁচিল তৈরি করুক। এ বিষয়ে মানবাজার ১ ব্লকের বিডিও দেবাশিস ধর বলেন, স্কুলের পাঁচিল তৈরির বিষয়ে কেউ জানাননি, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি।
  • Link to this news (বর্তমান)