সংবাদদাতা, বহরমপুর: পুজো মিটতেই পেঁয়াজের দাম হাফ সেঞ্চুরি ছাড়াল। শুক্রবার বহরমপুরের বিভিন্ন বাজারে সুখসাগর পেঁয়াজ বিক্রি হল ৬০ টাকা কেজি দরে। বিক্রেতাদের দাবি, পেঁয়াজের দাম আরও বাড়তে পারে। রাজ্য সরকার ভর্তুকি মূল্যে পেঁয়াজ বিক্রি করবে, এই আশায় বহু মানুষ তাকিয়ে রয়েছেন। রেশনে ভর্তুকি মূল্যে পেঁয়াজ বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার। সামাজিক মাধ্যমে এই খবর রীতিমতো সাড়া ফেলেছে। পেঁয়াজের পাশাপাশি লঙ্কার ঝাঁজ আর রসুনের তেজ মধ্যবিত্তের হেঁশেলে একযোগে বড় ধাক্কা দিয়েছে।
দুর্গাপুজোর আগে থেকেই পেঁয়াজের দাম ঊর্ধ্বমুখী হতে শুরু করেছিল। পুজোর মধ্যে পেঁয়াজ ৫০ টাকা কেজিতে থমকে ছিল। পুজো মিটতেই ফের পেঁয়াজের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে শুরু করেছে। খুচরো বাজারে পেঁয়াজ ৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। পাল্লা (পাঁচ কেজি) হিসাবে নিলে ৫৫ টাকা কেজি দরে দাম পড়ছে। সব্জি বিক্রেতা আলোবরণ বাগদি বলেন, নাসিকের পেঁয়াজ ছেড়ে খরিদ্দার সুখসাগর পেঁয়াজের দিকেই বেশি ঝুঁকছেন। সামনে কালীপুজো, ভাইফোঁটা, নবান্ন উৎসব রয়েছে। ফলে পেঁয়াজের দাম আরও বাড়তে পারে বলেই আমাদের অনুমান। পেঁয়াজের দাম বাড়ায় বহু পরিবার হেঁশেলে পেঁয়াজের ব্যবহার কমিয়ে এনেছেন। এদিকে রাজ্য সরকার বাজারে ভর্তুকি মূল্যে পেঁয়াজ বিক্রি করছে বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় হরদম ঘুরপাক খাচ্ছে। বহরমপুর গান্ধী কলোনির বাসিন্দা বিপাশা হাজরা বলেন, রাজ্য সরকার কম দামে পেঁয়াজ বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে বলে শুনছি। তবে কতটা সত্যি জানি না। সত্যি হলে বহু পরিবারের উপকার হবে।
অন্যদিকে, সব্জি বাজারে গত প্রায় একমাস লঙ্কার দামে কোনও পরিবর্তন আসেনি। লঙ্কা ২০০ টাকা কেজি দামেই আটকে রয়েছে। লঙ্কার উৎপাদন কমে যাওয়ায় দাম নামছে না বলেই পাইকারি ও খুচরো বিক্রেতাদের দাবি। লঙ্কা, পেঁয়াজের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রসুনও মহার্ঘ হয়ে উঠেছে।
শুক্রবার বিভিন্ন বাজারে রসুন বিক্রি হয়েছে তিনশো টাকা কেজি দরে। তূলনায় আদার দাম কিছুটা হলেও নীচের দিকে রয়েছে। নতুন ওঠা কাঁচা আদা বিকোচ্ছে ৮০ টাকা কেজি দরে। পুরাতন আদার দাম ১৫০-১৭০ টাকা কেজি।