সংবাদদাতা, মানকর: ঝাঁ চকচকে ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কে অবাধে চরছে গোরু। এর ফলে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে গাড়ির চালকদের। দ্রতগামী লরির সামনে আচমকা গোরু চলে আসায় লরি চালকদের গাড়ি নিয়ন্ত্রণ করতে বেগ পেতে হচ্ছে। তাঁদের আশঙ্কা যেভাবে অবাধে গোরু চরছে যে কোনওদিন বড় দুর্ঘটনা ঘটে যাবে।
১৯ নম্বর জাতীয় সড়কে পানাগড় থেকে বর্ধমান যাওয়ার রাস্তায় গেলে বুদবুদ পর্যন্ত বেশ কয়েকটি ফ্লাইওভার রয়েছে। দেখা যাচ্ছে কোটা মোড় পেরিয়ে এসে পানাগড় আর্মি ক্যাম্পের কাছে ফ্লাইওভার ওঠার মুখে গোরু রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। লরি চালক রমেশ গুপ্তা জানান, প্রায় প্রতিদিনই এক দল গোরু রাস্তাজুড়ে দাঁড়িয়ে থাকে। গোরুগুলি অনেক সময় সার্ভিস রোড থেকে আচমকা প্রধান রাস্তায় উঠে চলে আসে। দ্রুতগামী গাড়ির চালকদের সমস্যা হয়। তিনি বলেন, কয়েক বছর আগে জাতীয় সড়কের কাদা রোড মোড় ফ্লাইওভারে গোরুর সঙ্গে ধাক্কা লেগেছিল একটি ট্রাকের। ট্রাকটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফ্লাইওভারের উপর থেকে ঝুলতে থাকে। এখানেও কড়া নজরদারি না হলে যে কোনওদিন বড় দুর্ঘটনা ঘটে যাবে।
নিত্যযাত্রীরা জানান, শুধু জাতীয় সড়কেই নয়, পাশের দু’ দিকের সার্ভিস রোড, বুদবুদ-মানকর আন্ডারপাস সহ একাধিক আন্ডারপাসে অবাধে বিচরণ করছে গোরু, মোষ। কাঁকসার মাধব হালদার বলেন, বাইক নিয়ে পানাগড় থেকে সার্ভিস রোড ধরে নিয়মিত পারাজ যাই। বুদবুদ ঢোকার আগে সার্ভিস রোডে প্রচুর মোষ দাঁড়িয়ে থাকে। বাইক নিয়ে যেতে সমস্যা হয়। হর্ন দিলেও সরে না। মোষ চরাতে নিয়ে আসা ব্যক্তিরাও এগিয়ে এসে রাস্তা থেকে মোষ সরিয়ে দেয় না। আউশগ্রামের মৃন্ময় লাহা বলেন, বুদবুদ মানকর আন্ডারপাশে গোরু দাঁড়িয়ে থাকে। অথচ গুরুত্বপূর্ণ এই আন্ডারপাসে বর্ধমান ও দুর্গাপুরগামী রাস্তা থেকে প্রবেশ করা যায়। সার্ভিস রোডে হাম্প থাকায় আন্ডারপাসে প্রবেশের আগে গাড়ির গতি কম থাকে। কিন্তু রাস্তায় গোরু থাকার ফলে রাস্তা ছোট হয়ে যায়। রাস্তায় কেন গোরু চড়ানো হবে সেই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। যাত্রীদের দাবি, জাতীয় সড়কে গবাদি পশু দেখলেই বাজেয়াপ্ত করা হোক। পশুর মালিকের বিরুদ্ধেও কড়া আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হোক। কোটা এলাকায় বেশ কিছু বাসিন্দা রয়েছেন যাঁরা সকালে ঘাস খেতে গোরু ছেড়ে দিচ্ছেন। বুদবুদে একাধিক খাটালের গোরু, মোষ রয়েছে। তাছাড়া পানাগড় আর্মি ক্যাম্পের পাশে একাধিক ভবঘুরে গোরু রয়েছে। তারা রাস্তার ডিভাইডারের উপর ঘাস খাওয়ার জন্য জাতীয় সড়কে উঠে যাচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে বুদবুদ থানার ওসি (ট্র্যাফিক) চিরঞ্জিব গুহ রায় বলেন, জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষকে আমরা বিষয়টি জানিয়েছি। গোরুর মালিকদের বাড়িতে গিয়েও সচেতন করা হয়েছে। নিয়মিত নজরদারি চালানো হচ্ছে।