জোড়া খাঁচাতেও লাভ হয়নি, ‘মানুষখেকো’ চিতাবাঘের আতঙ্কে সিঁটিয়ে খেরকাটাবাসী
বর্তমান | ২৩ অক্টোবর ২০২৪
সংবাদদাতা, নাগরাকাটা: কিশোরীকে বাড়ির উঠোন থেকে তুলে নিয়ে যায় চিতাবাঘ। তারপর মেলে রক্তাক্ত দেহ। তখন থেকেই আতঙ্ক কমেছে না নাগরাকাটা ব্লকের খেরকাটা গ্রামে। বনদপ্তর দু’টি খাঁচা বসালেও এখনও বন্দি হয়নি ‘মানুষখেকো’ চিতাবাঘ। বরং সোমবার রাতে পথকুকুর তুলে নিয়ে গিয়ে খুবলে খেয়ে দেহাংশ ঝোপে ফেলে গিয়েছে চিতাবাঘ। মঙ্গলবার সকালে মৃত কুকুরটির মাথা উদ্ধার করেন গ্রামবাসীরা। তাতে আতঙ্ক বেড়েছে আরও।
এই অবস্থায় সন্ধ্যার পর শিশুদের সঙ্গে সঙ্গে বড়রাও ঘরের চার দেওয়ালে নিজেদের বন্দি করে রাখছেন। চিতাবাঘের আক্রমণ থেকে বাঁচতে মঙ্গলবার বিকেলে বনদপ্তর গ্রামবাসীদের নিয়ে বৈঠক করে ক্যুইক রেসপন্স টিম গঠন করেছে। তাঁরা আপাতত রাত জেগে গ্রামে
পাহারা দেবেন।
সকাল সকাল গ্রামে কুকুরের মুণ্ড পড়ে থাকতে দেখে আতঙ্কিত গ্রামবাসীরা। মানুষখেকো চিতাবাঘের লাগাতার হানাদারিতে তাঁরা চিন্তিত। এলাকার বাসিন্দা গণেশ ছেত্রী বলেন, কিশোরীর মৃত্যুর পর সন্ধ্যা থেকে গ্রামে চিতাবাঘ ঘুরে বেড়াচ্ছে। রাতভর চিতাবাঘের ডাক শুনে আতঙ্কে ঘুম আসছে না। রাতে একটি কুকুরকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে খেয়ে ফেলেছে চিতাবাঘ। আমরা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছি। চিতাবাঘ ধরতে দু’টি খাঁচা পেতে রাখা হয়েছে। কিন্তু কোনও
লাভ হয়নি।
এ ব্যাপারে চালসার রেঞ্জার প্রকাশ থাপা বলেন, যেহেতু খাঁচা পেতে রাখার পরও চিতাবাঘ ধরা পড়ছে না, তাই গ্রামে পাহারা দেওয়ার জন্য টিম গঠন করে দেওয়া হল। এই টিমকে আমরা প্রশিক্ষণ দেব। গ্রামে হাতি ঢুকে গেলে হাতি তাড়াতেও কাজ করবে এই টিম।
গত শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ সুশীলা গোয়ালা নামে এক কিশোরী উঠোনের পাশে কলের সামনে গ্লাস ধোয়ায় জন্য যায়। সেই সময় একটি চিতাবাঘ তাকে তুলে নিয়ে জঙ্গলে চলে যায়। গ্রামবাসীরা পরে এক কিমি দূরে জঙ্গলের ভিতর থেকে ওই কিশোরীর দেহ উদ্ধার করে। সেদিন থেকেই গ্রামে শুরু হয়েছে চিতাবাঘের আতঙ্ক।