• স্কুলবাড়ি যেন রাধিকাপুর এক্সপ্রেস, ভোল বদলানোয় পড়ায় ঝোঁক বেড়েছে পড়ুয়াদের
    বর্তমান | ২৩ অক্টোবর ২০২৪
  • মৃন্ময় বসাক, কালিয়াগঞ্জ:  কালিয়াগঞ্জ শহর থেকে কিছু দূরে। ধানের জমির মাঝে দাঁড়িয়ে একটি ট্রেন। গায়ে লেখা রাধিকাপুর এক্সপ্রেস। নেই রেল ট্র্যাক। দরজা খুলতেই দেখা গেল খুদে ছাত্রছাত্রীরা লেখাপড়া করছে। লোহার বদলে কংক্রিটের তৈরি এই রধিকাপুর এক্সপ্রেস আসলে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়। কালিয়াগঞ্জের ভাণ্ডার প্রাথমিক বিদ্যালয়কে সম্প্রতি এভাবেই সাজিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ফলও মিলেছে হাতেনাতে। নতুন রূপে স্কুলকে দেখে কমেছে অনুপস্থিতির সংখ্যা। পড়ায় আগ্রহও বেড়েছে খুদে পড়ুয়াদের।

    বিদ্যালয়ের সহ শিক্ষক মুন্না দাসের কথায়, বিদ্যালয়ে চারটে ক্লাসরুম ও একটি অফিস রুম আছে। প্রতিটি ঘরকেই রাধিকাপুর এক্সপ্রেসের আদলে তৈরি করা হয়েছে। মূলত পড়ুয়াদের কাছে স্কুলকে আকর্ষণীয় করতেই একমাস আগে রং করে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। 

    নতুন আদল দিয়ে লাভ কি হল? মুন্না বলেন, আগে খুব কম ছাত্রছাত্রীই নিয়মিত আসত। এখন উপস্থিতির সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ১২২ জন ছাত্রছাত্রী। এখন প্রতিদিন গড়ে ৯০ জন হাজির থাকে। হতে পারে একঘেয়েমি থেকে তারা স্কুলে আসতে চাইত না।

    খুশি পড়ুয়ারাও। পঞ্চম শ্রেণির তন্ময় বর্মন বলে, একবার দাদুর সঙ্গে ট্রেনে ঘুরতে গিয়েছিলাম। এখন বিদ্যালয় রেলগাড়ির মতো হয়ে যাওয়ায় ক্লাসে আসতেও ভালো লাগে। আমার বন্ধুরাও আর স্কুল কামাই করে না।

    ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে কালিয়াগঞ্জ ব্লকের এই বিদ্যালয়ের নতুন আদল। প্রতিদিন অনেকে এসে ভিডিও করে নিয়ে যাচ্ছেন। বারান্দার সামনে দাঁড়িয়ে ছবিও তুলছেন তাঁরা। 

    এলাকার বাসিন্দা গৌতম রায়ের কথায়,আমরা বিভিন্ন কাজে নিয়মিত রাধিকাপুর এক্সপ্রেসে যাতায়াত করি। জীবনের সঙ্গে এই ট্রেন প্রবলভাবে জড়িয়ে আছে। তবে একটি সরকারি বিদ্যালয়কে এভাবে তার মতো রূপ দেওয়ার উদ্যোগ প্রশংসনীয়। ছাত্রছাত্রীরাও খুশি হয়ে বিদ্যালয়ে যাচ্ছে। এভাবে নতুন নতুন কিছু করলে পড়াতেও আগ্রহ বাড়বে।
  • Link to this news (বর্তমান)