সংবাদদাতা, আলিপুরদুয়ার: জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের কুঞ্জনগর বিটের বনকর্মীদের তৎপরতায় ময়রারডাঙার একটি শিশু ও শিশুর পরিবার অল্পের জন্য বিষধর সাপের কামড় থেকে বেঁচে গেল। সোমবার রাতে ময়রারডাঙার সিনহাপাড়ার বাসিন্দা প্রদীপ বিশ্বাসের শোওয়ার ঘরে বিষধর দু’টি কালাচ সাপ ঢুকে পড়েছিল।
শিশুটি তখন বিছানায় মশারির ভিতরে ঘুমিয়ে পড়েছিল। আর প্রদীপবাবু ও তাঁর স্ত্রী রাতের খাওয়াদাওয়া সেরে শোওয়ার জন্য ঘরে ঢুকতেই দেখেন কালাচ সাপের যুগল পরস্পর জড়িয়ে ধরে ঘরের মেঝেতে খেলছে। এই দৃশ্য দেখে হাঁড় হিম হয়ে যায় বিশ্বাস দম্পতির। সামনে সমূহ বিপদ দেখে ও শিশু সন্তানকে বাঁচাতে প্রদীপবাবু সঙ্গে সঙ্গে কুঞ্জনগর বিটে ফোন করেন।
ফোন পেয়েই রাত ১২টা নাগাদ ছুটে আসেন ওই বিটের তিন বনকর্মী রফিকুল ইসলাম, মৃণালকান্তি সিনহা ও প্রদীপ বর্মন। তিন বনকর্মী অত্যন্ত সাহসিকতার পরিচয় দিয়ে দু’টি কালাচ সাপকে বস্তাবন্দি করে ফেলেন। সাক্ষাৎ মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে বিশ্বাস পরিবার বনকর্মীদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
প্রদীপবাবু বলেন, বনকর্মীদের ধন্যবাদ। তাঁরা আমাদের শিশু সন্তান সহ বাঁচিয়ে দিয়েছেন। জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের ডিএফও প্রবীণ কাসোয়ান বলেন, কালাচ অর্থাৎ ওয়ালস ক্রেইট অত্যন্ত বিষধর সাপ। এই সাপকে বলা হয় সাইলেন্ট কিলার। অর্থাৎ এই সাপ দংশন করার পর আক্রান্ত ব্যক্তি প্রথমে বিষ টের পাবে না। কিন্তু সময় যত যাবে ততই শরীরের স্নায়ুতন্ত্র দুর্বল হয়ে পড়বে। অবশেষে মৃত্যু হবে আক্রান্তের। রাতেই জঙ্গলে সাপ দু’টিকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।