সংবাদদাতা, শীতলকুচি: পাথর বোঝাই ডাম্পারের ভারে খেংচি নদীর সেতু ভেঙেছে। গত এক সপ্তাহে বিকল্প কোনও ব্যবস্থাই নেয়নি প্রশাসন। যার জেরে বাধ্য হয়ে ভাঙা সেতু দিয়ে নদী পারাপার করতে হচ্ছে শীতলকুচি ব্লকের বাসিন্দাদের। প্রশাসন ভাঙা সেতু দিয়ে যাতায়াতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেই দায় সেড়েছে। নদী পারাপারে সাঁকোর দাবি জানালেও প্রশাসন তা না করায় স্থানীয়রা ক্ষুব্ধ।
ভাঐরথানা-গোঁসাইরহাট গ্রামীণ সড়কের কাছারিঘাট সেতুটির গুরুত্ব কম নয়। আমলারডাঙা, মাশানকুড়া, ভাঐরথানা সহ পার্শ্ববর্তী কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দারা বুড়া ধরলা নদীর উপর এই সেতু পেরিয়ে মাথাভাঙা, শীতলকুচি রাজ্যসড়কে ওঠে। সেতু ভেঙে পড়ায় কয়েককিমি ঘুরপথে যাতায়াত করতে হচ্ছে বাসিন্দাদের। তাদের অভিযোগ, পঁচিশ বছরেরও বেশি পুরনো এই সেতুটি রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছিল। লোহার পিলারগুলি মরচে ধরে ক্ষয়ে যায়। তা নিয়ে বহুবার প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের জানানো হয়। কিন্তু, তারা সেতু সংস্কারের ব্যবস্থা না নেওয়ায় সেটি ভেঙে পড়ে।
বাসিন্দাদের মধ্যে কমল বর্মন বলেন, সেতুটি ভেঙে যাওয়ায় আমাদের দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে। কোনও কাজে শীতলকুচি অথবা গোঁসাইরহাটে যেতে হলে ঘুরপথে যাতায়াত করতে হচ্ছে।
দ্রুত নতুন সেতু নির্মাণের পাশাপাশি সাঁকো তৈরি করা হোক। এবিষয়ে শীতলকুচি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মদন বর্মন বলেন, বিষয়টি নজরে রয়েছে। সাঁকোর বানানোর বিষয়টি ব্লক প্রশাসন ও গ্রাম পঞ্চায়েতের সঙ্গে আলোচনা করেছি। বিষয়টি নিয়ে দ্রুত পদক্ষেপের আশ্বাস দিয়েছেন শীতলকুচি বিডিও সোফিয়া আব্বাস।