সংবাদদাতা, কল্যাণী: জন্মের সময় থেকেই মলদ্বার ও যোনিদ্বার ছিল না সেই কল্যা সন্তানের। দেখতে দেখতে সেই ছোট্ট মেয়েটি এখন বছর একুশের গৃহবধূ। জটিল অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তাঁর মলদ্বার তৈরির পাশাপাশি যোনিদ্বার তৈরি করে তাক লাগিয়েছেন এসএসকেএম এবং কল্যাণীর জে এন এম হাসপাতালের চিকিৎসকরা। শুধু তাই নয়, সেই তরুণী এখন মাতৃত্বের স্বাদও পেয়েছেন। সোমবার তিনি একটি সুস্থ, সবল পুত্র সন্তানের জন্ম দিয়েছেন।
পূর্ব বর্ধমানের ধাত্রীগ্রামের বাসিন্দা ওই তরুণীর মল-মূত্র একটা সময়ে পাইপের সাহায্যে প্যাকেটে এসে জমত। ২০১৬ সালে কলকাতার এস এস কে এম হাসপাতালের চিকিৎসকরা জটিল অপারেশনের মাধ্যমে তার শরীরে মলদ্বার তৈরি করে দেন। সফলভাবে সেই অপারেশন হওয়ার পর আর পাঁচজন সুস্থ মানুষের মতোই মলত্যাগ করতে সক্ষম হন তিনি। কিশোর বয়স পেরিয়ে যৌবনে প্রবেশের মুখে তিনি ফের এস এস কে এম হাসপাতালে আসেন যোনিদ্বার তৈরির জন্য। সেখানে নানাভাবে চিকিৎসার পর জানিয়ে দেওয়া হয়, কল্যাণীর জে এন এম হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা করাতে। এই হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগের ডাঃ মৃগাঙ্কমৌলি সাহার তত্ত্বাবধানে তাঁর চিকিৎসা চলে। ২০২২ সালে জটিল প্লাস্টিক সার্জারি মাধ্যমে কৃত্রিম যোনিদ্বার তৈরি করে দেন চিকিৎসকরা। যোনিদ্বারের সঙ্গে সংযোগ স্থাপিত হয় জরায়ুর। শারীরিক গঠন পূর্ণতা পাওয়ার পর বিয়ের পিঁড়িতে বসেন ওই তরুণী। তিনি সন্তানের জন্ম দেওয়ায় খুশি দুই পরিবার। কল্যাণীর জে এন এম হাসপাতালের স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ মৃগাঙ্কমৌলি সাহা বলেন, এই ধরনের সমস্যা এক লক্ষ মানুষের মধ্যে একজনের হয়। তরুণীর এক সুস্থ, সবল সন্তানের জন্ম দেওয়ায় খুশি তিনিও। ডাঃ সাহা বলেন, কোনও বেসরকারি হাসপাতালে এটা করতে লক্ষ লক্ষ টাকা লাগত। সরকারি হাসপাতালে তা বিনা খরচে করা হয়েছে।