নিজস্ব প্রতিনিধি, বিধাননগর: হাতে হাতে স্মার্টফোন। তাই কমবেশি সকলেই সোশ্যাল মিডিয়ার সঙ্গে যুক্ত। স্ক্রল করলেই সেখানে বেরিয়ে আসে, পোশাক, বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম থেকে গৃহস্থালী নানা সামগ্রী কেনার পেজ। সেখানে আসল পেজের আড়ালে লুকিয়ে রয়েছে প্রতারকদের পেজও। যেখানে শপিং করার জন্য ইচ্ছে প্রকাশ করলেই হতে পারে বিপদ। কিছু কেনার জন্য অর্ডার কোড কনফার্ম করেন, তাহলে যে কোনও মুহূর্তে ফাঁকা হতে পারে অ্যাকাউন্ট। এমনই নয়া কায়দার সাইবার প্রতারণার ফাঁদ পাতছে প্রতারকরা। ইতিমধ্যেই বাংলা সহ বিভিন্ন রাজ্যে বহু মানুষ প্রতারিতও হয়েছেন। তাই সর্তক থাকার পরামর্শ দিচ্ছে পুলিস।
যদিও পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় বহু ভালো পেজও রয়েছে। যাঁরা সত্যিই অনলাইনে কারবার করেন। কিন্তু, সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে প্রতারকরাও একই ধরনের পেজ তৈরি করছেন। কীভাবে হচ্ছে প্রতারণা? ফেক পেজগুলিতে আকর্ষণীয় জিনিসপত্র থাকছে। দেখলে মনে হবে, ক্লিক করে দেখি। এবার কোনও একটি জিনিসে ক্লিক করে পেজ থেকে বেরিয়ে গেলেও প্রতারকরা সেই গ্রাহককে ফোন করছেন। তারপর প্রশ্ন করছেন, আপনি কী ওই জিনিসটি কিনবেন? মানে অর্ডার কনফার্ম করছেন? অনেকেই ভাবছেন, ফোন যখন আসছে, তাহলে নিশ্চয়ই পেজটি ভালো। এরপর অনেকে বলছেন, হ্যাঁ, আমি অর্ডার কনফার্ম করছি।
তখনই ফোনের অপরপ্রান্ত থেকে বলা হচ্ছে, একটি অর্ডার কোড পাঠানো হচ্ছে। সেটি দেখে জানিয়ে দিন। তাহলে আপনার অর্ডার নিশ্চিত হয়ে যাবে। আপনার ঠিকানায় পৌঁছে যাবে। যে বা যাঁরা ওই কোড বলে দিচ্ছেন, তাঁরাই প্রতারণার শিকার হচ্ছেন। সেটি আসলে একটি ওটিপি। হ্যাকাররা গ্রাহকের ফোন হ্যাক করে হাতিয়ে নিচ্ছে টাকা। পুলিস জানিয়েছে, ফোনে কোনও ধরনের ওটিপি বা কোড শেয়ার করা উচিত নয়। তাই এই ধরনের প্রতারণা থেকে সতর্ক থাকতে হবে। দ্বিতীয়ত, কোনও ধরনের অচেনা লিঙ্ক বা পেজে ক্লিক করার আগে ভালো করে যাঁচাই করতে হবে। তা না হলে প্রতারকদের খপ্পরে পড়তে হবে।