অনশনকারীদের খাটগুলির কী হবে, ফাঁপরে মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ
বর্তমান | ২৩ অক্টোবর ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: অনশন শেষ। তাই ধর্মতলার অনশন মঞ্চে আন্দোলনকারীদের বিশ্রামের জন্য রাখা খাটগুলি নিয়ে এসে রাখা হয়েছে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ অফিসের অনতিদূরে। এই খাট নিয়েই এবার রীতিমতো ফাঁপরে পড়েছে কলেজ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কারণ, এগুলি সরকারি নয়, জুনিয়র ডাক্তারদের সম্পত্তি। এই অবস্থায় খাটগুলি রাখা হবে, নাকি ফেলে দেওয়া হবে, বুঝে উঠতে পারছে না কর্তৃপক্ষ।
এদিকে, সোমবার সন্ধ্যায় অনশন উঠলেও সেই রাতেই অসুস্থ হয়ে পড়েন অনশনকারী তিন জুনিয়র ডাক্তার। তাঁদের সোমবার রাতে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। অসুস্থ তিন আন্দোলনকারী হলেন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের অঙ্কোলজির সিনিয়র রেসিডেন্ট স্নিগ্ধা হাজরা, ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের সার্জারির পিজিটি আলোলিকা কুণ্ডু এবং যাদবপুরের একটি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের প্যাথোলজির তৃতীয় বর্ষের পিজিটি সায়ন্তনী ঘোষ হাজরা। সিসিইউ থেকে ক’দিন আগে ছুটি পাওয়া আর এক অনশনকারী অনুষ্টুপ মুখোপাধ্যায়কে সাতদিন বিশ্রাম নিতে বলা হয়েছে। এদিন ছুটি পেয়েছেন এখানকার ইএনটি বিভাগের সিনিয়র রেসিডেন্ট ডাঃ তনয়া পাঁজা।
অন্যদিকে, মেয়ের মৃত্যুর বিচার চাইতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সাক্ষাৎ প্রার্থনা করলেন অভয়ার বাবা-মা। মঙ্গলবার তাঁরা ই-মেল করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে দেখা করার সময় চেয়েছেন। এদিন হালিশহরে দলের বিজয়া সম্মিলনিতে যোগ দিয়ে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ আর জি কর নিয়ে আন্দোলনকে কটাক্ষ করে বলেন, ‘অভয়া যদি বিচার না পান, যাঁরা এই আন্দোলন পিছন থেকে পরিচালনা করেছেন, তাঁরাই দায়ী থাকবেন। তখনই বোঝা যাবে, এই আন্দোলন শুধু রাত জাগার জন্য হল, নাকি অভয়ার বিচারের জন্য হল।’ তিনি মনে করেন, আর জি কর ইস্যুতে সাধারণ মানুষ আন্দোলনের জন্য আন্দোলন করছেন নাকি সরকার পরিবর্তনের জন্য, রাজ্যের ছ’টি বিধানসভার আসন্ন উপ নির্বাচনের ফলাফলেই তা স্পষ্ট হবে।