নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: সকাল ছ’টায় পাইকপাড়ায় ট্যাক্সির ধাক্কায় প্রাণ গেল বাবা ও মেয়ের। এরপরেই পাঁচ ঘণ্টা গায়েব উইন্ড স্ক্রিন ভাঙা হলুদ গাড়িটি। পুলিসের কাছে ক্লু বলতে শুধুমাত্র ট্যাক্সির নম্বরপ্লেট— ডব্লু ০৪ ই ৮৬০৬। ডানলপগামী ফ্ল্যাঙ্কে দুর্ঘটনা ঘটেছিল। তাই সেদিকেই সিসি ক্যামেরা ধরে খুঁজতে থাকে পুলিস। কিন্তু, কোথায় সেই ট্যাক্সি? অবশেষে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ও প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ৪ কিলোমিটার দূরে কুমোরটুলি এলাকা থেকে উদ্ধার হল গাড়িটি। কালো কাপড় দিয়ে সেটিকে ঢেকে রাখে ধৃত চালক সাহেব দাস (৫৪)। পুলিসি নজর এড়াতেই ট্যাক্সিটিকে আড়াল করে তথ্যপ্রমাণের লোপাটের চেষ্টা করে খুনে অভিযুক্ত প্রৌঢ়। এমনটাই দাবি তদন্তকারীদের।
পুলিস সূত্রে খবর, রাতভর ট্যাক্সি চালাচ্ছিল সাহেব। ভোরের দিকে মধ্য কলকাতা থেকে একজন যাত্রী পাওয়া যায়। ডানলপে যাচ্ছিলেন ওই যাত্রী। টালা ব্রিজ থেকে ট্যাক্সিটি নামতেই দ্রুত গতিতে ছুটতে শুরু করে। বাবা ও মেয়েকে ধাক্কার অভিঘাতে ভেঙে যায় ট্যাক্সির উইন্ড স্ক্রিন। তুবড়ে যায় বনেট। সিসি ক্যামেরার ফুটেজে পুলিস দেখেছে, লকগেট ক্রসিং থেকে ইউ টার্ন নিয়ে নেয় গাড়িটি। পাইকপাড়া ক্রসিংয়ে পিছনের আসনে বসা যাত্রী নামিয়ে দেয় চালক। টালা ব্রিজ টপকে ডানদিকে বাগবাজার দিয়ে ট্রাম লাইন ধরে কুমোরটুলি পার্কে পৌঁছে যায় গাড়িটি। সেখানে অন্যান্য ট্যাক্সিচালকরা সাহেবকে জিজ্ঞাসা করেন, উইন্ডস্ক্রিন ভাঙল কীভাবে? কিন্তু, কোনও উত্তর না দিয়ে কালো কাপড় দিয়ে ট্যাক্সিটি ঢেকে দেয় সে। শ্যামপুকুর থানা এলাকারই বাসিন্দা চালক। সেখান থেকেই তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিস।