সংবাদদাতা, বজবজ: কালীপুজো কার দখলে থাকবে? এই প্রশ্নেই দু’ভাগ শাসকদলের অনুগত দুই গোষ্ঠী। মহেশতলার ১০ নম্বর ওয়ার্ডে এ নিয়ে দু’টি গোষ্ঠীর মধ্যে মঙ্গলবার ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। অভিযোগ, এক রাউন্ড গুলির পাশাপাশি মুড়ি-মুড়কির মতো বোমা, ইট-পাটকেল ছোড়ে দু’পক্ষ। ভাঙচুর করা হয়েছে আটটি বাইক। ঘটনাটি ঘটেছে রবীন্দ্রনগর থানার ময়লা ডিপো এলাকায়। এই ঘটনার প্রতিবাদে একটি গোষ্ঠী এদিন দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত গার্ডেনরিচ রোড অবরোধ করে। অবরোধকারীরা তৃণমূলের ওয়ার্ড কমিটির প্রাক্তন সভাপতি ও তাঁর দুই অনুগতকে গ্রেপ্তারের দাবি জানান। খবর পেয়ে রবীন্দ্রনগর থানার আইসি সহ অন্যান্য আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে আসেন। তাঁরা যথাযথ ব্যবস্থার আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। এরপর দুপুরের দিকে তৃণমূলের ১ নম্বর ওয়ার্ড কমিটির প্রাক্তন সভাপতিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিস থানায় তুলে নিয়ে যায়। তবে এই ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি বলে জানা গিয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা রয়েছে।
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ১০ নম্বর ওয়ার্ডের ময়লা ডিপো সংলগ্ন খেলার মাঠে একটি কালী মন্দির আছে। সেখানে প্রতি বছর কালীপুজো করেন ময়লা ডিপোয় কর্মরত গরিব ঝুপড়িবাসী। তৃণমূলের যুব নেতা রবি মণ্ডলের অভিযোগ, এবার এই পুজোর দখল নিতে চাইছে তৃণমূলের ১ নম্বর ওয়ার্ড কমিটির প্রাক্তন সভাপতি ও তাঁর অনুগতরা। রবিবাবুর কথায়, পুজোকে কেন্দ্র করে সেখানে অসামাজিক কাজ করার পরিকল্পনা নিয়েছিল বহিরাগতরা। যা আমরা বানচাল করে দিয়েছি। তাতেই আমাদের উপর চটে যায়। আসলে এর আগে দুর্গাপুজোর সময় ১ নম্বর ওয়ার্ডের ওই তৃণমূল নেতার অনুগামীরা ঝুপড়িবাসীদের কাছে মোটা অঙ্কের চাঁদার রসিদ কেটেছিল। সেই দাবি মতো তাঁরা চাঁদা দিতে পারেননি। তখনই দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছিল তারা। তার বদলা নিতেই কালীপুজো দখলের চেষ্টা চলে। তাতে বাধা পেয়ে এদিন মারমুখী হয়ে হামলা চালায়। গুলি, বোমা ছোড়ে। আটটি মোটরবাইক ভাঙচুর করা হয়েছে। পুলিস অবশ্য সংঘর্ষ ও বাইক ভাঙচুরের কথা স্বীকার করলেও বোমা এবং গুলি চালানোর কথা অস্বীকার করেছে।