বেলঘরিয়া থানার হোমগার্ড সাসপেন্ড কেন? রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের
বর্তমান | ২৩ অক্টোবর ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: বেলঘরিয়া থানার অস্থায়ী হোমগার্ড কাশীনাথ পান্ডাকে কেন বরখাস্ত করা হল, তা জানতে চাইল কলকাতা হাইকোর্ট। বিষয়টি নিয়ে রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব করেছে বিচারপতি কৌশিক চন্দর পূজাবকাশকালীন বেঞ্চ।
কাশীনাথের দাবি, আর জি করের নির্যাতিতার সুবিচারের দাবিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি গান পোস্ট করেন তিনি। তারপর থেকেই তাঁকে বিভিন্নভাবে হেনস্তা হতে হয়েছে। এরপর কার্যত কোনও কারণ না দেখিয়েই তাঁকে বরখাস্ত করা হয়। বিষয়টিকে কেন্দ্র করে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন কাশীনাথ। এদিন সেই মামলার শুনানির পর বিচারপতি রাজ্যের কাছে জানতে চেয়েছেন, কেন ওই হোমগার্ডকে শাস্তির মুখে পড়তে হল? তাঁর বিরুদ্ধে মূল অভিযোগ কী? এসব তথ্য জানিয়ে রাজ্যকে রিপোর্ট জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি চন্দর সিঙ্গল বেঞ্চ। পূজাবকাশের পর নিয়মিত বেঞ্চে রিপোর্ট জমা দিতে নিদেশ দিয়েছেন বিচারপতি।
বছর পাঁচেক ধরে বেলঘরিয়া থানায় ট্রাফিক হোমগার্ডের চাকরি করছেন হাওড়ার ডোমজুড়ের বাসিন্দা কাশীনাথ পান্ডা। ২১ আগস্ট আর জি করের ঘটনায় বিচারের দাবিতে শ্যামাসঙ্গীতের আদলে ওই গান গেয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন তিনি। তারপরই যাবতীয় ঘটনার সূত্রপাত বলে দাবি তাঁর। এ প্রসঙ্গে বারাকপুরের পুলিস কমিশনার অলক রাজোরিয়া বলেন, প্রথমত কাশীনাথ পান্ডা নামের ওই হোমগার্ড স্থায়ী পদে চাকরি করেন না। ফলে তাকে সাসপেন্ডের কোনও প্রশ্নই নেই। তবে কাজে গাফিলতি, অবাধ্যতা এবং ভুল পথে পরিচালনার জন্য তাঁকে আপাতত কাজ থেকে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং তাঁর বিরুদ্ধে তদন্তও শুরু হয়েছে। তাঁকে বসিয়ে দেওয়ার পিছনে নির্দিষ্ট কিছু কারণ রয়েছে। হাইকোর্টকে আমরা তা জানিয়ে দেব।