ছট ও ভাইফোঁটায় বাজার চাঙ্গা, খুশি মঙ্গলাহাটের ব্যবসায়ীরা
বর্তমান | ২৩ অক্টোবর ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, হাওড়া: এবছর দুর্গাপুজোর সময় ব্যবসায় মন্দা গিয়েছে বলে হাওড়ার মঙ্গলাহাটের ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত পড়েছিল। দুর্গাপুজোর আগে শেষ সপ্তাহেও বাজার ছিল প্রায় ফাঁকা। কিন্তু এখন কালো মেঘ সরিয়ে দীপাবলীর আগে হাসি ফুটছে হাটের ব্যবসায়ীদের মুখে। ছটপুজো এবং ভাইফোঁটা উপলক্ষ্যে সোম ও মঙ্গলবার বিভিন্ন জেলার এবং ভিন রাজ্যের পাইকারি ব্যবসায়ীরা ভিড় জমিয়েছিলেন হাটে। ফলে হাওড়া ময়দান সংলগ্ন এশিয়ার অন্যতম বড় কাপড়ের বাজারে বেচাকেনা বেড়েছে। গত তিন মাসের তুলনায় বিক্রি বৃদ্ধি অনেকটাই।
সামনে ছট পুজো। উৎসবের আগে ভিন রাজ্যের ব্যবসায়ীরা মঙ্গলহাটে সামগ্রী কিনতে আসেন। এবছরও আসছেন। সোমবার ওড়িশা, বিহার ও উত্তরপ্রদেশের পাইকারি ব্যবসায়ীরা পোশাক কিনতে মঙ্গলাহাটে এসেছিলেন। বিহারের ভাগলপুর থেকে সবথেকে বেশি সংখ্যক ক্রেতা এসেছিলেন বলে জানালেন মঙ্গলাহাটের বড় ব্যবসায়ীরা। কেনার পর আগামী সপ্তাহের জন্য বড় অঙ্কের বরাতও দিয়ে গিয়েছেন তাঁরা। ভিন রাজ্যই শুধু নয়, এ রাজ্যের দুই মেদিনীপুর, বর্ধমান, নদীয়া, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া ও উত্তরবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলা থেকেও সোম ও মঙ্গলবার প্রচুর ব্যবসায়ী রেডিমেড কাপড় কিনতে এসেছিলেন। সবমিলিয়ে ছিল জমজমাট ভিড়। ভালো ব্যবসা হওয়ায় খুশি মঙ্গলাহাটের ব্যবসায়ীরা। তাঁদের বক্তব্য, ‘পুজোয় বাজার মার খেয়েছিল। লোকসান কিভাবে মেটাবো বুঝতে পারছিলাম না। তবে এখন ভিড় বাড়ছে। আগামী সপ্তাহে ভাইফোঁটা। জেলার বহু খদ্দের আসবেন।’
সমবায়িকা-নবীন-ফ্যান্সি-মডার্ন -পোড়া ইত্যদি হাট মিলিয়ে হাওড়া ময়দান সংলগ্ন মঙ্গলাহাটে লক্ষাধিক মানুষ ব্যবসা করেন। পাশাপাশি ফুটপাতেও পসরা সাজিয়েও বসেন কয়েক হাজার বিক্রেতা। প্রতি সপ্তাহে সোম ও মঙ্গলবার মঙ্গলাহাট বসে। এ বাজারকে কেন্দ্র করেই কয়েকশো কোটি টাকার লেনদেন হয় এবং অন্যান্য বছর পুজোর আগে প্রতি সপ্তাহে সবকটি হাট মিলিয়ে ৫০০ কোটি টাকার কেনাবেচা হয় বলে দাবি। কিন্তু এ বছর দুর্গাপুজোর বাজার ৭০ শতাংশের মতো লোকসানের মুখে পড়েছিল। মঙ্গলাহাট ব্যবসায়ী সমিতির (সেন্ট্রাল) সভাপতি মলয় দত্ত বলেন, ‘দুর্গাপুজোর সময় মাঝারি ও ছোট ব্যবসায়ীরা সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তবে ছটপুজো ও ভাইফোঁটার সময় সেই ক্ষতির প্রায় ৩০ শতাংশ পূরণ হয়েছে।’