• বিশ্বশান্তির বার্তা, গুজরাতের উমেদ ভবন-নারায়ণ মন্দির, বারাসতের কালীপুজোয় চমক দেওয়া থিম
    বর্তমান | ২৩ অক্টোবর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাসত: বারাসত শহরের কালীপুজো খুব জনপ্রিয়। রকমারি থিমের প্যান্ডেল হয়। চোখ ধাঁধানো আলোকসজ্জা থাকে। প্রতিমা হয় আকর্ষণীয়। দর্শক টানার ক্ষেত্রে একে অপরকে টেক্কা দেয় কমিটিগুলি। এবছর কোথাও বিশ্বশান্তির বার্তা দিয়ে হয়েছে মণ্ডপ। কোথাও গুজরাতের উমেদ ভবন। কোথাও আবার দক্ষিণ ভারতের নারায়ণ মন্দির। পুজোর আগে ঘূর্ণিঝড় ঝাপটা মারতে পারে। তাই নাওয়া খাওয়া ছেড়ে জোরকদমে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি।

    বারাসত শহরের নামকরা পুজোগুলির মধ্যে অন্যতম হল কেএনসি রেজিমেন্টের কালীপুজো। ৬৫ বছর বয়স হল এ পুজোর। ২৮ জুলাই থেকে শুরু হয়েছে প্যান্ডেল তৈরির কাজ। তাদের থিম ভাবনা, গুজরাতের ‘উমেদ ভবন’। সেই রাজ্যের সংস্কৃতিকে এবার কালীপুজোর প্যান্ডেলের মাধ্যমে তুলে ধরতে চলেছে উদ্যোক্তারা। ইতিহাস প্রসিদ্ধ ওই ভবনের উচ্চতা প্রায় ৬০ ফুট। তা ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা চলছে বারাসতে। মণ্ডপসজ্জার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে তৈরি হয়েছে কালীমূর্তি। কৃষ্ণনগর থেকে আসছে মূর্তি। গোটা চত্বর অলোয় সাজানো হচ্ছে। কেএনসি রোড ধরে রকমারি আলোয় ভাসবে এলাকা। থাকবে পরিবেশ সচেতনতার বার্তাও। পুজো উদ্যোক্তা অশনি মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘আলোকসজ্জা আকর্ষণীয়। চন্দননগর ও দিল্লি থেকে নিয়ে আসা হচ্ছে রকমারি আলো।’ এর পাশাপাশি বারাসতের পুরনো কাঠগোলার শক্তি মন্দিরের কালীপুজো এ বছর ৬৬ বছরে পড়ল। এ বছরের ভাবনা, ‘বিশ্বশান্তির বার্তা’। তুলো আর স্পঞ্জ দিয়ে তৈরি হচ্ছে মণ্ডপ। সামনে শান্তির বার্তা দিতে থাকছে বিশাল আকারের একটি সাদা পায়রা। এর পাশে রাখা হয়েছে দুটি পরী। চমক থাকছে প্রতিমাতেও। কালীমূর্তির একপাশে থাকছে রাম-সীতা আর হনুমান। অন্যদিকে শিব, পার্বতীর বিয়ে দিচ্ছেন ভগবান বিষ্ণু। উদ্যোক্তা আশিস মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘বিশ্বজুড়ে চলছে অশান্তি, হানাহানি। যুদ্ধ যুদ্ধ আবহ। এই পরিস্থিতিতে বিশ্ব শান্তির বার্তা দেওয়া হয়েছে মণ্ডপ তৈরির মাধ্যমে।’ এছা‌ড়া বারাসত-বারাকপুর রোডের ধারে ছাত্রদলের পুজো এবার ৫৫ বছরে পা দিল। উদ্যোক্তাদের মূল ভাবনা, দক্ষিণ ভারতের নারায়ণ মন্দিরের আদলে মণ্ডপ। মণ্ডপের উচ্চতা ৫৪ ফুট। বাঁশের কাঠামোর উপর ফাইবার ও প্লাই দিয়ে তৈরি হয়েছে মণ্ডপ। এখানে দক্ষিণ ভারতের সংস্কৃতি তুলে ধরা হয়েছে। ভগবান নারায়ণের মূর্তি রাখা হয়েছে। তিরুপতির আদলে তৈরি হয়েছে প্রতিমা। কমিটির প্রধান সংগঠক জন পাল বলেন, ‘প্রতি বছরের মতো ছাত্রদল এ বছরও নজরকাড়া প্রতিমা ও মণ্ডপ উপহার দিচ্ছে দর্শকদের। সঙ্গে রয়েছে চন্দননগরের আলো।’
  • Link to this news (বর্তমান)