• এখনও জমিই হস্তান্তর হয়নি, বিশ বাঁও জলে বনগাঁর বাজি হাব
    বর্তমান | ২৩ অক্টোবর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, বনগাঁ: বনগাঁর গোপালনগরের চৌবেড়িয়ায় বাজি হাব তৈরির জন্য জমি চিহ্নিত হলেও তা হস্তান্তর হয়নি। ফলে বাজি হাব তৈরি নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে সংশয় দেখা দিয়েছে। চলতি বছরের শুরুতেই বাজি হাব তৈরির ব্যাপারে তৎপর হয়েছিল প্রশাসন। রাজ্যের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প দপ্তরের উদ্যোগে এটি গড়ে ওঠার কথা ছিল। কিন্তু প্রায় এক বছর হতে চললেও এই কাজ এক ইঞ্চিও এগয়নি।

    ২০২৩ সালে দত্তপুকুরে বাজি বিস্ফোরণে বেশ কয়েকজন মারা গিয়েছিলেন। এরপরেই সবুজ বাজির হাব তৈরির কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর ওই ঘোষণার পর কার্যত যুদ্ধকালীন তৎপরতায় বনগাঁর চৌবেড়িয়া গ্রামে যমুনা ও পার্বতী নদীর মোহানায় আট একর জমি চিহ্নিত করে জেলা প্রশাসন। রাজ্যের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প দপ্তরের উদ্যোগে এই বাজি হাব গড়ার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। সবুজ বাজির হাব তৈরির পাশাপাশি সেগুলি বিক্রির জন্যও জেলার ন’টি জায়গাকে চিহ্নিত করা হয়েছিল। কিন্তু আজ পর্যন্ত সেই বাজি হাব তৈরির কাজ একবিন্দুও এগয়নি। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে জমি হস্তান্তরই করা হয়নি। চৌবেড়িয়ায় বাজি হাবের বিরোধিতা করে পথে নেমেছিল পরিবেশ ও বাস্তুতন্ত্র রক্ষা কমিটি। তাদের দাবি, কৃষি নির্ভর ওই এলাকায় বাজি হাব তৈরি হলে পরিবেশের ক্ষতি হবে। তারা বাজির পরিবর্তে অন্য কোনও শিল্প গড়ার পক্ষে মত দেয়। এ বিষয়ে স্থানীয় পরিবেশ কর্মী প্রদীপ সরকার বলেন, দু’টি নদীর মোহানাকে কেন্দ্র করে বহু মৎস্যজীবী তাঁদের জীবিকা নির্বাহ করেন। ওখানে বাজি হাব হলে কর্মহীন হয়ে পড়বেন বহু মৎস্যজীবী। আমরা চাই, এলাকায় কৃষি নির্ভর শিল্প গড়ে তুলুক সরকার।
  • Link to this news (বর্তমান)