দুপুরের পর থেকে বদলে যাবে দিঘার ছবি, সকালেই তাই চুটিয়ে হুল্লোড় পর্যটকদের
এই সময় | ২৩ অক্টোবর ২০২৪
মৌসম ভবনের পূর্বাভাস সত্যি হলে আজ বুধবার দুপুরের মধ্যেই ঘূর্ণিঝড় 'দানা'র জন্ম হবে বঙ্গোপসাগরে। বৃহস্পতিবার থেকেই দমকা হাওয়া, বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে উপকূলের জেলাগুলিতে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন হোটেলগুলিকে ডেডলাইন দিয়ে জানিয়েছে, বুধবার দুপুরের মধ্যেই সব ঘর ফাঁকা করে ফেলতে হবে। বুধবার সকাল থেকে তাই দিঘায় অন্য ছবি। পর্যটকদের বাড়ি ফেরার প্রস্তুতি জোরদার। আর তার ফাঁকে সমুদ্রের ধারে হুল্লোড়ে মেতেছেন তাঁরা।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপ বুধবার দুপুরে ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিতে পারে। এরপর ধীরে ধীরে স্থলভাগের দিকে তার অগ্রসর হওয়া শুরু হবে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়বে পশ্চিমবঙ্গের উপকূল এলাকায়। ইতিমধ্যেই সতর্কতা জারি করা হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের দিঘা, মন্দারমণি, তাজপুর, হলদিয়া-সহ বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে।উপকূল এলাকায় বাড়তি নজরদারির পাশাপাশি দিঘার পর্যটন কেন্দ্রগুলি পর্যটকশূন্য করার কথাও ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন। এ নিয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দিঘা শঙ্করপুর হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে বৈঠক করে প্রশাসন। সেখানেই সিদ্ধান্ত হয় বুধবার দুপুরের মধ্যে সব হোটেল খালি করে দিতে হবে।
আজ সকাল থেকেই সৈকত শহরে মাইকে সতর্কতামূলক প্রচার চলছে। ক্যানিং থেকে এসেছেন রাখি সরকার। আচমকা বাড়ি ফিরতে হচ্ছে, তাই মন খারাপ। তিনি বলেন, 'রবিবার এসেছি। আমাদের আজ ও কাল থাকার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু ঝড় হবে বলে চলে যেতে হচ্ছে।' একই কথা প্রশান্ত ভুঁইয়ারও। দিন তিনেক এখানে ছিলেন। আরও দু'দিন থাকার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু দুপুরের পর থেকে সমুদ্রের ধারে যাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা এবং হোটেল ফাঁকা করার নির্দেশ আসার পর বাধ্য হয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন।
তবে এই বাড়ি ফেরার আগে অনেকেই বুধের সকালবেলা চুটিয়ে উপভোগ করে নিয়েছেন। ভোর থেকেই সমুদ্রে নেমে হইহুল্লোড়ের ছবিও দেখা গিয়েছে। প্রশাসন জানিয়েছে, তারা সবরকমভাবে তৈরি। এর আগেও যেভাবে দুর্যোগ সামাল দিয়েছে তারা, এবারও প্রস্তুত।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তম বারিক জানান, 'এর আগেও জেলা পুলিশ, প্রশাসন, জনপ্রতিনিধিরা প্রাকৃতিক দুর্যোগের হাত থেকে সাধারণ মানুষকে সুরক্ষিত রাখার সমস্ত ব্যবস্থা করেছে। এবারও তাঁরা তৈরি আছেন।'