ঘূর্ণিঝড়ের পরিস্থিতি দেখে বিমান চলাচল নিয়ে সিদ্ধান্ত: এএআই
বর্তমান | ২৩ অক্টোবর ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ঝড়ের পরিস্থিতি বিচার করে বিমান চলাচল সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ডানা ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার আগে বিমান পরিষেবা নিয়ে এই আলোচনা হয়েছে কলকাতা বিমানবন্দরের শীর্ষ আধিকারিকদের বৈঠকে। ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় আগাম প্রস্তুতিও সেরে রাখছে কলকাতা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে হাওয়া অফিস জানিয়েছে, শহর-শহরতলিতে ঝড়ের গতিবেগ ৫০ থেকে ৭০ কিমি হতে পারে।
মঙ্গলবার ঘুর্ণিঝড় নিয়ে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের উচ্চ পর্যায়ের একটি বৈঠক হয়। তারপর জানানো হয়েছে, আপাতত কোনও বিমান বাতিল করা হচ্ছে না। কিন্তু ঝড়ের গতিপ্রকৃতি অনুযায়ী বাতিল হতে পারে বিমান চলাচল। এবং ঝড় তীব্র আকার নিলে রানওয়ে থেকে বিমানগুলিকে হ্যাঙ্গারে নিয়ে আসা হবে সুরক্ষার কারণে। পাশাপাশি নির্দেশ, ঝড় চলাকালীন রানওয়েতে কোনও কর্মচারী থাকবে না। বিমান বাতিল হলে যাত্রীদের সুবিধায় এয়ারলাইন্সগুলিকে বিকল্প ব্যবস্থা রাখতেও বলেছে কর্তৃপক্ষ। ভারী বৃষ্টির জেরে বিমানবন্দরে জল জমলে অতিরিক্ত পাম্প কাজ করবে। সিআইএসএফ ও নিরাপত্তারক্ষীর সংখ্যা বাড়ানো নিয়েও আলোচনা হয়েছে এদিন। বুধবার ফের হবে এ সংক্রান্ত রিভিউ মিটিং। এয়ারপোর্ট অথরিটি জানিয়েছে, ঝড়ের সময় বিমান ওঠা-নামার ক্ষেত্রে বিশেষ নজর রাখা হবে। প্রয়োজনে সেই সময় অপারেশন বন্ধ থাকবে।
অন্যদিকে, ঝড়ের মোকাবিলায় কলকাতা পুরসভা বিভিন্ন বিভাগের কর্মীদের ছুটি বাতিল করেছে। আজ, বুধবার থেকে আগামী শনিবার পর্যন্ত এই নির্দেশিকা জারি থাকবে। ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে কন্ট্রোল রুম। সব নিকাশি পাম্পিং স্টেশনে ২৪ ঘণ্টা কর্মীদের থাকতে বলা হয়েছে। অন্যদিকে লালবাজারেও খোলা হচ্ছে কন্ট্রোল রুম। এদিন ‘ডানা’ নিয়ে লালবাজারে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে বসেন সিপি মনোজ ভার্মা। বৈঠক সূত্রে খবর, শহরে বিপজ্জনক অবস্থায় থাকা বাড়ি এবং সেখানে কত পরিবার বসবাস করে তার তালিকা তৈরির নির্দেশ দিয়েছে লালবাজার। প্রয়োজনে বিপজ্জনক বাড়ির বাসিন্দাদের অন্যত্র সরানোর ব্যবস্থা হবে। এর পাশাপাশি শহরে মাকড়সার জালের মতো বিছিয়ে থাকা বৈদ্যুতিক তার নজরে এলেই সিইএসসিকে জানানোর কথা বলা হয়েছে। নির্মীয়মাণ বহুতল কিংবা মেট্রোর কাজের জন্য ব্যবহৃত ক্রেন খুলে রাখার নির্দেশও দিয়েছে লালবাজার। একই সঙ্গে বিজ্ঞাপনী হোর্ডিংও খুলতে বলা হয়েছে। ঝড়ে গাছের ডাল ভেঙে নীচে দাঁড়িয়ে থাকা গাড়ির উপর পড়ে। এই ঘটনায় আগে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে একাধিক গাড়ি। শহরের সমস্ত ট্রাফিক গার্ডকে এবার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, গাছের নীচে কেউ যাতে গাড়ি পার্ক না করেন তা দেখার জন্য। পাশাপাশি ওসি কন্ট্রোল রুমকে সিভিল ডিফেন্সের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার নির্দেশও দেওয়া হয়।