• অর্ডার মতো প্রদীপ সরবরাহ করা যাবে কি না, উদ্বেগে বারুইপুরের মৃৎশিল্পীরা
    বর্তমান | ২৩ অক্টোবর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: পুজোর আগে এবং তারপরেও বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টিতে কিছুটা ব্যাহত হয়েছে কাজ। এবার এসেছে ঘূর্ণিঝড় ডানার পূর্বভাস। চিন্তায় বারুইপুরের মৃৎশিল্পীরা। কারণ বিভিন্ন জেলা ও কলকাতা থেকে প্রচুর পরিমাণ প্রদীপের অর্ডার এসেছে। কিন্তু সময়ে তা তৈরি করে সরবরাহ করা যাবে কি না, তা নিয়ে দুশ্চিন্তার শেষ নেই তাঁদের। তাই দুর্যোগ আসার আগেই যতটা সম্ভব কাজ শেষ করার মরিয়া চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন মৃৎশিল্পীরা। আপাতত নাওয়া-খাওয়া ছেড়ে দিনরাত এক করে চলছে প্রদীপ তৈরির কাজ।

    বারুইপুরের পুরী গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় কাঁটাখাল সংলগ্ন রাস্তার ধারে একাধিক মৃৎশিল্পীর বাড়িঘর রয়েছে। সেখানেই তাঁরা সারাবছর মাটির নানা সামগ্রী তৈরি করেন। পুজো এলেই সেখানে অন্য কাজ ফেলে প্রদীপ বানানোর ব্যস্ততা শুরু হয়ে যায়। এবারে সেই কাজ অনেক আগে থেকে শুরু হলেও বারেবারে বৃষ্টি এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে তা ব্যাহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন মৃৎশিল্পীরা। পুজোর দিনগুলিতেও তাই উৎসবে মেতে থাকার বদলে প্রদীপ তৈরিতেই ব্যস্ত ছিলেন তাঁরা। এক সপ্তাহ বাদে কালীপুজো। প্রত্যেক মৃৎশিল্পীর কয়েক লক্ষ করে প্রদীপ সরবরাহ করার কথা রয়েছে।

    ওই পাড়ায় গিয়ে দেখা গেল, এখনও বিপুল সংখ্যক মাটির প্রদীপ শোকানোর কাজ বাকি। যেগুলি ইতিমধ্যে আগুনে পোড়ানো হয়ে গিয়েছে, সেগুলি বস্তায় ভর্তি করা হয়েছে। কলকাতা থেকে ক্রেতারা এসে তা কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। তবে, কালীপুজোর মুখে এই দুর্যোগের ফলে ব্যবসায় ক্ষতি হতে পারে বলেই আশঙ্কা করছেন তাঁরা। শিল্পীরা বলেন, গতবার বাজার মোটামুটি ছিল, এবারেও চাহিদা ভালোই রয়েছে। কিন্তু সময় সব অর্ডার সরবরাহ করা যাবে কি না, তা নিয়েই রয়েছে চিন্তা। এক-দু’দিন বাদে বৃষ্টি নেমে গেলে আর নতুন করে মাটির প্রদীপ তৈরি করা যাবে না। -নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)