• চন্দননগরে জগদ্ধাত্রী পুজোর প্রস্তুতি জোর ধাক্কা খাবে, উদ্বেগ
    বর্তমান | ২৩ অক্টোবর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, চুঁচুড়া: ‘ডানা’ ঝড়ের আতঙ্ক চেপে বসেছে চন্দননগরে। এখন জগদ্ধাত্রী পুজোর মণ্ডপ তৈরির কাজ চলছে। আলোকসজ্জার জন্য রাজপথে তৈরি হয়েছে একাধিক তোরণ। ঝড়ের দাপটে সব কিছুর ক্ষয়ক্ষতি হবে বলে কপালে ভাঁজ পুজো উদ্যোক্তাদের। একই অবস্থা পাণ্ডুয়ায়। বিগ বাজেটের কালীপুজো হয় সেখানে। ইতিমধে পুজো প্রস্তুতি প্রায় শেষের পথে। তার আগে ঝড়ের আতঙ্ক চেপে বসেছে পুজো উদ্যোক্তাদের মধ্যে।

    অন্যদিতে তৎপরতা শুরু হয়েছে প্রশাসনিক তরফে। কৃষকদের সতর্ক করার পাশাপাশি বুধবার থেকে বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে গঙ্গায় ফেরি পরিষেবা। বলাগড় ব্লক প্রশাসন মঙ্গলবার নোটিস দিয়ে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত ফেরি চলাচল বন্ধ রাখার কথা ঘোষণা করেছে। হুগলির অন্যান্য ফেরিঘাটগুলিতেও সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে। চন্দননগর কেন্দ্রীয় জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটির সাধারণ সম্পাদক শুভজিৎ সাউ বলেন, ‘শহরের সমস্ত রাস্তায় আলোকসজ্জার কাঠামো গড়ে তোলা হয়েছে। ঝড়ে সেসবের কি হাল হবে, তা নিয়ে কমিটিগুলি আতঙ্কে। ভেঙে গেলে নতুন করে গড়ে তোলা সময়সাপেক্ষ এবং আর্থিক ক্ষতির বিষয়টিও থাকছে।’ পুজো উদ্যোক্তা মোহিত নন্দী বলেন, ‘জগদ্ধাত্রীর বিরাট আকারের কারণে বেশিরভাগ প্রতিমা মণ্ডপেই তৈরি হয়। ঝড়ের দাপটে প্রতিমা অক্ষত রাখা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়ে হয়েছে।’ পাণ্ডুয়ার পুজো উদ্যোক্তা ও কেন্দ্রীয় কালীপুজো কমিটির কর্মকর্তা সঞ্জয় ঘোষ বলেন, ‘কালীপুজোর প্রস্তুতি পাণ্ডুয়াতে শেষের মুখে। এ সময় ‘ডানা’র ঝাপটা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। ঝড় চলে যাওয়ার পর বেশি সময় থাকবে না। কতটা ক্ষতি সামাল দেওয়া যাবে জানি না।’

    অন্যদিকে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, কন্ট্রোল রুম খুলে পরিস্থিতির দিকে নজর রাখার কাজ শুরু হয়েছে। গঙ্গার পাড়ের বসতিগুলি থেকে বসবাসকারীদের সরানোর কাজ শুরু হয়েছে। পুরসভা ও ব্লকে অস্থায়ী ত্রাণ শিবির হয়েছে। ফসল সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে কৃষকদের। -নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)