ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: হতেই পারে প্রতীকী! কিন্তু তাতে কী!
আর জি করের নির্যাতিতা পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডাক্তার বেঁচে থাকলে এবার চেস্ট মেডিসিনে এমডি চূড়ান্ত বর্ষের পরীক্ষা দিতেন। থিসিস পেপার তৈরি করেছিলেন। ‘অভয়া’র মতো কয়েক হাজার পিজিটিও গবেষণাপত্র তৈরি করেছেন। সেগুলি তাঁদের বিভাগীয় প্রধানের কাছে জমাও দিতে শুরু করেছেন। এবার সেই নির্যাতিতাকে স্মরণ করে দেশের অন্তত এক ডজন সরকারি মেডিক্যাল কলেজের পিজিটি তাঁদের গবেষণাপত্র ‘অভয়া’র নামে উৎসর্গ করলেন। স্বাধীন ভারতে জুনিয়র চিকিৎসকদের এমন পদক্ষেপে আপ্লুত সিনিয়র চিকিৎসকরা।
‘অভয়া’র মৃত্যুর পর দেশজুড়ে চিকিৎসকরা আন্দোলন করেছেন। জুনিয়র ও রেসিডেন্ট ডাক্তার সংগঠন দেশজুড়ে কর্মবিরতি করেছে। রাজ্যের সব সরকারি মেডিক্যাল কলেজর ইন্টার্ন জুনিয়র ও পিজিটিরা লাগাতার আন্দোলন করেছেন। কর্মক্ষেত্রে রোগী এবং চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে লাগাতার অনশন করেছেন। টানা ১৭ দিনের সেই আন্দোলন সোমবার শেষ হয়েছে। রাজ্য সরকার তাঁদের সব দাবির যৌক্তিকতা মেনে নিয়েছে। রাজ্য ভিত্তিক টাস্ক ফোর্স গঠিত হয়েছে। কিন্তু আর জি করের চেষ্ট মেডিসিনের পিজিটির মৃত্যু ও ধর্ষণের ঘটনা ডাক্তার সমাজকে নাড়িয়ে দিয়েছে। আর সেই কারণেই তাঁকে মনে রেখে এম ডি, এম এস পিজিটিরা তাঁদের গবেষণাপত্র সেই ‘অভয়া’কে উৎসর্গ করছেন।
অল ইন্ডিয়া রেসিডেন্ট ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের তরফে এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানানো হয়েছে। স্বাগত জানিয়েছে সব চিকিৎসক সংগঠন। যদিও নির্যাতিতা ধর্ষণ ও খুন বিচারাধীন বিষয়। কিন্তু এক সহকর্মীকে মনে রেখেই এটি প্রতীকী উৎসর্গ বলে এম ডি , এম এস ডাক্তারদের পক্ষে জানানো হয়েছে।