১৩ নভেম্বর রাজ্যর সিতাই, মাদারিহাট, নৈহাটি, হাড়োয়া, মেদিনীপুর এবং তালডাংরা বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন হবে। সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলির বিধায়কেরা গত লোকসভা ভোটে জিতে সাংসদ হওয়ায় ওই কেন্দ্রগুলি ফাঁকা হয়েছে। রীতি অনুযায়ী ছ’মাসের মধ্যে সেই উপনির্বাচন করানোর কথাই ছিল। মঙ্গলবার মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে (সিইও) চিঠি দিয়ে কমিশন স্পষ্ট করে দিয়েছে, ১৫ অক্টোবর ভোট ঘোষণার পর থেকেই সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলিতে আদর্শ আচরণবিধি কার্যকর হয়েছে। ফলে ভোটপ্রক্রিয়া সমাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত বাড়ি বাড়ি সমীক্ষার কাজ করা যাবে না। কমিশন এ-ও স্পষ্ট করে দিয়েছে, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং বাঁকুড়া জেলা জুড়ে আদর্শ আচরণবিধি কার্যকর রয়েছে। নৈহাটি, হাড়োয়া এবং জলপাইগুড়ি বিধানসভা এলাকাতে শুধুমাত্র কার্যকর রয়েছে আদর্শ আচরণবিধি। ফলে সংশ্লিষ্ট জেলা এবং বিধানসভা কেন্দ্রের কোথাও আবাস-সমীক্ষা করা যাবে না আপাতত।
কমিশন সূত্রের খবর, সিতাইয়ে ১৬ কোম্পানি, মাদারিহাটে ১৪, নৈহাটিতে ১০, হাড়োয়ায় ১৫, মেদিনীপুরে ১৬ ও তালডাংরায় ১৮ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে। সম সংখ্যক কুইক রেসপন্স দল মোতায়েন হবে সংশ্লিষ্ট বিধানসভা কেন্দ্রগুলিতে। ২৯ অক্টোবর মুখ্যসচিব-সহ রাজ্যের প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করার কথা মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার-সহ বাকি কমিশন-কর্তাদের। ঝাড়খণ্ডেও ভোট থাকার কারণে এ রাজ্যের সঙ্গে সেই রাজ্যের সীমানার সুরক্ষা-সহ একাধিক বিষয়ে কথা হবে বলে অনুমান।