আজ, বুধবার সকালে জল ছাড়ার পরিমাণ কমে ১৩ হাজার কিউসেক। দামোদরের দুর্গাপুর ব্যারেজে থেকেও জল ছাড়ার পরিমাণ কমিয়ে দিয়েছে। সেচ দফতরের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার সঞ্জয় মজুমদারের বক্তব্য, ডানার ফলে পশ্চিম ও পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়া এবং ঝাড়খণ্ডে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়লে পাঞ্চেত এবং মাইথন জলাধারে চাপ পড়ে আর সঙ্গে সঙ্গে দুর্গাপুর ব্যারেজের উপরেও চাপ পড়বে।
তাই মাইথন এবং পাঞ্চেত জলাধারের জল কিছুটা খালি করার সঙ্গে সঙ্গে দামোদরের দুর্গাপুর ব্যারেজের জলও কিছুটা খালি করা হচ্ছে। মাসখানেক আগে অতি বৃষ্টির কারণে দামোদরের আশেপাশের নিম্নবর্তী অঞ্চলে বন্যা হয়েছিল। এবারে যাতে সেই পরিস্থিতি তৈরি না হয়, তাই এই ব্যবস্থা বলে জানান সেচ দফতরের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার।
ঘূর্ণিঝড়ের আগে চূড়ান্ত প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বসিরহাট মহকুমা শাসকের দফতরেও। আয়লা-আমফান-বুলবুল-ফনীর মতো ঝড়গুলির কথা মাথায় রেখে আগেভাগে সতর্ক রাজ্য প্রশাসন। তারই ছবি দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। তাই বসিরহাট মহকুমার ১০ টি ব্লকে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। বসিরহাট মহকুমা শাসকের দফতরে খোলা হয়েছে বিশেষ কন্ট্রোল রুম। সেখানে থেকে ১০ টি ব্লকের কন্ট্রোল রুমগুলির সঙ্গে ২৪ ঘণ্টা যোগাযোগ রাখা হবে।
সিঁদুরে মেঘ দেখে কাঁপছে ঘরপোড়া হিঙ্গলগঞ্জ ও সন্দেখালি। কেননা, বিশেষ করে সুন্দরবন-লাগোয়া হিঙ্গলগঞ্জ ও সন্দেখালি ব্লকেই বরাবর ঝড়ের প্রভাব পড়ে বেশি। তাই ওই দুটি ব্লকে সব থেকে বেশি নজর রাখা হচ্ছে।
এই ঘূর্ণিঝড়ের মোকাবিলায় জোরদার প্রস্তুতি চলছে বসিরহাট মহকুমা শাসকের দফতরে। ঝড়ের উদ্ধারকাজে ব্যবহৃত সরঞ্জামগুলি প্রস্তুত রাখা হচ্ছে। রাখা আছে রেসকিউ গাড়ি, ইলেকট্রিক করাত, মই, মিনি জেনারেটর থেকে শুরু করে এই ধরনের উদ্ধারকার্যে সাধারণত ব্যবহৃত সমস্ত রকম জিনিসপত্র। কোনও জায়গায় গাছ পড়ে গিয়ে রাস্তা আটকে গেলে সেই গাছ ইলেকট্রিক করাত দিয়ে কেটে পরিষ্কার করতে হবে। তাই আগে-ভাগে ইলেকট্রিক করাত দিয়ে গাছের ডাল কেটে নিজেদের কাজ ঝালিয়ে নিচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিপর্যয় মোকাবিলা টিম।