একদিন আগেই সিপিএমের সঙ্গে জোট বেঁধে বাংলায় প্রার্থী দিয়েছে তারা। সিপিএম আর নকশালে বিচ্ছেদ হওয়ার পর থেকে ধীরে তাদের সখ্য ফের বেড়েছে। তা নিয়ে প্রশ্নও উঠেছে। কিন্তু একেবারে জোট বেঁধে প্রার্থী দেওয়া সেই বিচ্ছেদের পর এই প্রথম। তবে সেই জোটের প্রেক্ষিত যে আর জি কর আন্দোলন এবং নৈহাটির মতো আসন নকশালদের ছেড়ে দেওয়া আদপে যে সিপিএমের তরফে ‘পুরস্কার’, ইতিমধ্যে সেই অভিযোগও উঠেছে।
মঙ্গলবার সিপিআইএমএল (লিবারেশন)-এর সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর ভট্টাচার্যর স্পষ্ট বক্তব্য, “আর জি করের ঘটনার প্রেক্ষিতে বাংলায় যে বিরাট গণজাগরণ শুরু হয়েছে, সেটাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া দরকার। তার জন্য পশ্চিমবাংলায় বাম শক্তির পুনরুত্থান দরকার। সেই জন্যই বৃহত্তর বামফ্রন্টের ঐক্য দরকার। এটাই এই জোটের পরিপ্রেক্ষিত।” শুধু একটা উপনির্বাচন নয়, আগামিদিনেও যে এই ‘বৃহত্তর বাম শক্তি’ রাজ্যের রাজনৈতিক কার্যকলাপ বাড়াবে তা-ও জানিয়েছেন দীপঙ্কর। দীপঙ্করবাবুর কথায়, “ছাব্বিশের ভোট নিয়ে এখনও ভাবার অনেক সময় আছে। তবে আমার মনে হয় পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতির ভারসাম্য পাল্টানো দরকার। সেখানে বামপন্থীদের শক্তি বৃদ্ধি দরকার, আর তার জন্যই দরকার বৃহত্তর বাম ঐক্য। সেই কারণেই মনে হয়েছে এটা সঠিক সময় সঠিক পদক্ষেপ।”
এই জোটকে ‘বাম-অতি বাম আঁতাঁত’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষ। জোটের ব্যাখ্যা চেয়ে সিপিএমকে কটাক্ষ করে প্রশ্ন তোলেন তিনি। কুণালের কথায়, “সিপিএম আর লিবারেশনের একজোট হওয়ার যুক্তিগ্রাহ্য ব্যাখ্যা সিপিএম দিক। বৃহত্তর বাম ঐক্য বললেই হবে? যাদের সঙ্গে আদর্শগত কোনও মিল নেই একটা পাঠ্যপুস্তক ছাড়া, নকশাল আন্দোলনের সময় যে নকশালের বিরোধিতা করেছিল সিপিএম সেই সিপিএমের হল কী?”