পুজোর পর ভেঙে গিয়েছিল ৩ বছরের প্রেম, অবসাদে আত্মঘাতী ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র
হিন্দুস্তান টাইমস | ২৩ অক্টোবর ২০২৪
জলপাইগুড়িতে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের এক ছাত্রের দেহ উদ্ধার ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। মৃত নাম শান্তনু মজুমদার। নিজের বাড়ি থেকে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় ওই যুবকের। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, এটি আত্মহত্যার ঘটনা। প্রেম ঘটিত কারণে যুবক আত্মঘাতী হয়েছে দাবি পরিবারের। মঙ্গলবার সকালে ছাত্রকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান পরিবারের সদস্যরা। সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এদিন দুপুরে জলপাইগুড়ির হাসপাতাল পাড়া এলাকায় বাড়ি থেকে ওই ছাত্রের দেহ উদ্ধার হয়।
জানা গিয়েছে, প্রতিদিনকার মতো সোমবার রাতে খাওয়া দাওয়া করে নিজের ঘরে গিয়েছিলেন শান্তনু। সকালে অনেক বেলা হয়ে যাওয়ার পরও যুবক ঘর থেকে না বেরোনোই ডাকাডাকি করেন পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু, কোনও সাড়াশব্দ না পাওয়ায় শেষ পর্যন্ত ঘরের দরজা ভাঙা হয়। এরপর ঘরে ঢুকে পরিবারের সদস্যরা দেখতে পান, গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলছেন শান্তনু। তড়িঘড়ি তাকে নামিয়ে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যান তারা। তবে সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার করে জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে দেহের ময়নাতদন্ত করা হয়। ঘটনায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলার রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
শান্তনুর পরিবারের সদস্য এবং বন্ধুবান্ধবদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে যে ওই যুবকের সঙ্গে এক তরুণীর সম্পর্ক ছিল। গত কয়েক মাস ধরে তাদের সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছিল। তবে পুজোর পরে তাদের সম্পর্কে বিচ্ছেদ ঘটে। সেই কারণেই তিনি আত্মঘাতী হয়ে থাকতে পারেন। যদিও পরিবারের সদস্যদের দাবি, তারা এই বিষয়টি জানতেন। তবে যুবকের আচরণের কোনও রকমের অস্বাভাবিক কিছু ধরা পড়েনি। এখন তাদের প্রশ্ন, এই রাতে হঠাৎ কী এমন হল যে শান্তনুকে এমন পদক্ষেপ করতে হল? সেই ক্ষেত্রে শান্তনুর পরিবার তার প্রেমিকাকেই দায়ী করেছে।
এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি পরিবার। তবে তারা পুলিশের দারস্থ হতে পারেন বলে জানা গিয়েছে। মৃতের এক আত্মীয় জানান, দরজা ভেঙে শান্তনুর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
একমাত্র সন্তানকে হারিয়ে শান্তনুর মা রত্না চট্টোপাধ্যায় কান্নায় ভেঙে পড়েছেন। তিনি জানান, ছেলের প্রেমের বিষয়ে তিনি জানতেন। তাদের মধ্যে তিন বছরের সম্পর্ক ছিল। কেন সম্পর্ক ভাঙল তা নিয়ে তিনিও দুশ্চিন্তায় ছিলেন। জানা যায়, জলপাইগুড়ি গভর্মেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ছাত্র ছিলেন শান্তনু।