• ‘জানি না কল্যাণ ঠিক কী অবস্থায় বৈঠকে যোগ দিতে আসেন’
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২৩ অক্টোবর ২০২৪
  • যৌথ সংসদীয় সংসদীয় কমিটির বৈঠকে তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ‘কী অবস্থায় হাজির হয়েছিলেন’ তা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন তমলুকের সাংসদ তথা অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বুধবার সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি বলেন, বিষয়টি আমি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে তাঁকে জানানোর চেষ্টা করব।

    মঙ্গলবার দুপুরে সংসদের অ্যানেক্স ভবনে ওয়াকফ বোর্ড সংশোধনী বিলের খসড়া তৈরির জন্য বৈঠকে বসেছিল বিশেষ সংসদীয় কমিটি। হাজির ছিলেন কমিটির সভাপতি প্রবীণ সাংসদ জগদম্বিকা পাল, তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, AIMIM সাংসদ আসাদউদ্দিন ওয়েইসি। এরই মধ্যে খবর আসে বৈঠক চলাকালীন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় আহত হয়েছেন। সঙ্গে সঙ্গে স্থগিত হয়ে যায় বৈঠক। পরে জানা যায়, মঙ্গলবার ওড়িশার ২টি সংগঠন ওয়াকফ আইন নিয়ে তাদের উপস্থাপনা পেশ করছিল। তখন বারবার নিজের বক্তব্য রাখার জন্য আবেদন জানাতে থাকেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। সভাপতি জগদম্বিকা পাল তাঁকে কয়েকবার বলতে সুযোগও দেন। কিন্তু তাতে সন্তুষ্ট ছিলেন না কল্যাণ। তিনি বলতে চেয়ে বার বার উপস্থাপনা পেশে বাধা দিতে থাকেন।

    তখন কল্যাণের আচরণের প্রতিবাদ করেন বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তখন তাঁকে গালাগালি করতে থাকেন তিনি। সভাপতি জগদম্বিকা পাল এসে কল্যাণকে শান্ত করার চেষ্টা করেন। সঙ্গে সঙ্গে মেজাজ হারিয়ে হাতের সামনে থাকা কাচের জলের বোতল আছড়ে ভাঙেন কল্যাণ। বোতলের ভাঙা ছুড়ে মারেন জগদম্বিকা পালেন সামনে। তবে ভাঙা বোতল জগদম্বিকা পালের গায়ে লাগেনি। তখনই হাতে চোট পান কল্যাণ। তাঁর হাতের ২টি আঙুল গুরুতর জখম হয়। সংসদে থাকা চিকিৎসকরা তাঁর হাতে ব্যান্ডেজ করেন। এই ঘটনার জেরে সাময়িকভাবে স্থগিত হয়ে যায় বৈঠক। তার পর কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে বৈঠক থেকে ১ দিনের জন্য বহিষ্কার করেন অন্য সদস্যরা।

    এই ঘটনা নিয়ে বুধবার মুখ খোলেন অভিজিৎবাবু। তিনি বলেন, ‘কল্যাণ আমাকে গত ২ দিন ধরে বৈঠক চলাকালীন নানা গালাগাল করছিলেন। চেয়ারম্যানের সামনেও তিনি আমাকে হেনস্থা করেছেন। কাল চেয়ারম্যান যখন বৈঠকের বাইরে ছিলেন তখন উনি আমাকে গালাগাল করতে শুরু করেন। চেয়ারম্যান ফিরে তাঁকে শান্ত হতে বললে উনি কাচের জলের বোতল ভেঙে চেয়ারম্যানের দিকে ছুঁড়ে মারেন। তখনই ওর হাত কেটে রক্ত পড়তে থাকে।’

    অভিজিৎবাবু বলেন, ‘উনি যে আচরণ করেছেন তা চায়ের দোকান বা রকে বসে থাকা কেউ করে না। আমি জানি না উনি কী অবস্থায় বৈঠকে যোগদান করেন। তাঁর আচরণের কথা স্পিকারকে জানানো হবে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে বিষয়টা জানানোর চেষ্টা করব।’
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)