তবে এ বারও মোদী ছাড়াও রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও আমন্ত্রণ জানানো হবে বলে জানিয়েছেন আয়োজক সংসদের প্রধান তথা ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের সন্ন্যাসী কার্তিক মহারাজ (স্বামী প্রদীপ্তানন্দ)। যিনি লোকসভা ভোটের অব্যবহিত আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতার অভিযোগের মুখে পড়েছিলেন।
লোকসভা নির্বাচনের মুখে মুখে ২০২৩ সালের ২৪ ডিসেম্বর ব্রিগেডে ‘লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠ’ কর্মসূচি হয়েছিল। তাতে আড়াল থেকে সমর্থন দিয়েছিল বিজেপি। কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির প্রথম সারির প্রায় সব নেতা। তবে সেই কর্মসূচিতে সত্যিই এক লাখ মানুষের সমাবেশ হয়েছিল কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। যদিও সংসদের পক্ষে দাবি করা হয়েছিল, লক্ষাধিক মানুষের সমাবেশ এবং এত জনের একসঙ্গে গীতাপাঠে বিশ্বরেকর্ড তৈরি হয়েছে।
সেই সময়ে এমনটাও অনেকে বলেছিলেন যে, যেখানে বিজেপির শক্তি বেশি, সেই উত্তরবঙ্গের প্রতিনিধিত্ব ব্রিগেডে সে ভাবে না থাকাতেই জমায়েত নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এ বার সেই উত্তরবঙ্গেই বসছে গীতাপাঠের আসর। সেখানে লক্ষ মানুষকে হাজির করার বিষয়ে সংসদের সঙ্গে বিজেপি তথা সঙ্ঘ পরিবারও সমর্থন দেবে। যদিও গোটা কর্মসূচিই হবে ‘অরাজনৈতিক’ সনাতন সংস্কৃতি সংসদের নামে। কার্তিক মহারাজ বলেন, ‘‘ইতিমধ্যেই রাজ্যের সব হিন্দুত্ববাদী সংস্থা এবং সংগঠনের সঙ্গে কথা হয়ে গিয়েছে। সব মঠ, মিশনেরও যোগদান থাকবে এই কর্মসূচিতে। খুব তাড়াতাড়ি গীতাপাঠের অভ্যাসও শুরু হবে।’’ একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, ধনখড় এবং হিমন্ত শিলিগুড়ি আসবেন বলে ইতিমধ্যেই কথা দিয়েছেন।
এখন শিলিগুড়িতে হলেও পরে ‘মধ্যবঙ্গ’ হিসাবে বর্ধমান এবং ২০২৫ সালের গোড়ার দিকে কলকাতায় বসবে গীতাপাঠের আসর। সংসদের পক্ষে জানানো হয়েছে, শিলিগুড়িতে গীতার প্রথম, দ্বিতীয়, দ্বাদশ, পঞ্চদশ এবং অষ্টাদশ অধ্যায়ের পাঠ হবে। সেই সঙ্গে সমবেত কণ্ঠে ‘হে পার্থসারথি’ নজরুলগীতিও পরিবেশিত হবে।