সংবাদদাতা, কাটোয়া: কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে এক প্রৌঢ়ের মৃত্যু ঘিরে ক্ষোভ। আজ, বুধবার সন্ধ্যায় চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ তুলে হাসপাতালের সুপারকে ঘিরে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন রোগীর পরিজনরা। ঘটনাকে ঘিরে হাসপাতাল চত্বরে উত্তেজনা ছড়ায়। পরে অকুস্থলে কাটোয়া থানার পুলিস গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের সুপার বিপ্লব মণ্ডল বলেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরই মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে। আমি ময়নাতদন্ত করতে বলেছি। যদি চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ প্রমাণ হয় তাহলে নিশ্চয়ই যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জানা গিয়েছে, দাঁইহাট চরপাতাইহাটের বাসিন্দা ননীগোপাল ভক্ত (৫৪) অসুস্থ ছিলেন। এদিন দুপুর নাগাদ তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করেন পরিবারের লোকজন। এরপর বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ তিনি হাসপাতালেই মারা যান। তারপরই গোলমাল দেখা দেয়। রোগীর পরিজনদের অভিযোগ, হাসপাতালে চিকিৎসার গাফিলতির কারণেই রোগীর মৃত্যু ঘটেছে। মৃতের ছেলে সত্যজিৎ ভক্ত বলেন, আমার বাবাকে হাসপাতালের মেঝেতে শুইয়ে রাখা হয়। কেউ কোনও চিকিৎসা শুরু করেনি। ঘন্টাখানেক পর বাবার শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। আমি ছোটাছুটি শুরু করি। কর্তব্যরত নার্সকে হাতেপায়ে ধরে অনুনয় বিনয়ও করি। এরপর স্যালাইন ও অক্সিজেন চালু করা হয়। তারপরই মৃত্যু হয় বাবার। চিকিৎসায় গাফিলতির কারণেই আমার বাবার মৃত্যু হয়েছে। সময়ে চিকিৎসা পেলে এটা হত না। এদিন পুরো বিষয়টি জানিয়ে সত্যজিৎবাবু হাসপাতালের সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন। পাশাপাশি ওই রোগীর মৃত্যুর খবর পেয়ে বেশকিছু লোকজনও জড়ো হন। তাঁরা হাসপাতাল চত্বরে ক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন।