এদিন বর্ধমানে এক অনুষ্ঠানে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ ওয়েলফেয়ার কমিটির আহ্বায়ক বলেন, 'গত কুড়ি-বাইশ দিন আগে, বা একমাস হবে আমি মুর্শিদাবাদে মিটিং করতে গিয়েছিলাম, মিটিং শেষ হওয়ার পর আমাদের পরিবারের লোকেরা, আমাদের মায়েরা বলছে, আমাদের বাড়ির ছেলেমেয়েরা স্কুলে যেতে চাইছে না। আমাদের ছেলেমেয়েরা যে স্কুলে পড়ে, সেই স্কুলের পাবলিক ছেলেমেয়েরা তাঁরা আঙুল উঁচু করে আমাদের বাড়ির ছেলেমেয়েদের বলছে, তোর বাপ পুলিস, পুলিস ধর্ষণ করেছে। পুলিস খুন করেছে'।
ওয়েলফেয়ার কমিটির আহ্বায়কের কথায়, 'ভাবতে পারেন, চক্রান্তের গভীরতা কোথায়! আমাদের বাড়ি ছেলেমেয়েরা, তাঁদেরও কিন্তু আক্রমণের শিকার করা হচ্ছে। আমরা যারা পুলিসে কাজ করছি, ট্রেনে-বাসে পুলিসে কাজ করি, এটা বলতেও পারছি না। এইরকম একটা পরিস্থিতির সৃষ্টি করা হয়েছে'। তাঁর অভিযোগ, 'পশ্চিমবঙ্গের একশ্রেণির সংবাদপত্র, একশ্রেণির রাজনীতিবিদ. একশ্রেণির তথাকথিত বুদ্ধিজীবী এই পরিস্থিতি তৈরি করেছে। সারা পশ্চিমবঙ্গের চার লক্ষেরও বেশি পুলিস পরিবারের সদস্য আমরা। যদি বাড়ির লোককে ধরি, প্রায় ২০ লক্ষ। এই কুড়ি লক্ষ মানুষকে এক শ্রেণির মানুষ, এক শ্রেণির অসাধু রাজনীতিবিদ, এক শ্রেণির বিক্রি হয়ে যাওয়া সাংবাদিকতা আমাদেরকে টার্গেট করেছে'।
এদিন পুলিসকর্মীদের আশ্বস্ত করেন পুলিশ ওয়েলফেয়ার কমিটির আহ্বায়ক। তিনি বলেন, 'চিন্তা করবেন না আপনারা। রাজ্য সরকার আমাদের সঙ্গে আছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ওয়েলফেয়ার কমিটির জন্ম দিয়েছেন। কারণ, তিনি উপলদ্ধি করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মানুষকে যদি ভালো রাখতে হয়, আগে ভালো রাখতে হবে পুলিসকর্মীদের। পুলিস যদি ভালো থাকে, পশ্চিমবঙ্গের মানুষ ভালো থাকবে'।