ডানার প্রভাবের আগেই ভেঙে পড়েছে গঙ্গাসাগরের নদীবাঁধ। ডানার প্রভাব পড়লেই আরও ভাঙতে পারে সেই বাঁধ। আতঙ্কিত উপকূল এলাকার মানুষজন। ডানার তাণ্ডবের আগে পূর্ণিমার কোটালে ভেঙে পড়েছে গঙ্গাসাগরের এক নম্বর ঘাট থেকে ৫ নম্বর ঘাট পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার অংশ। এর আগে একাধিক প্রাকৃতিক বিপর্যয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গঙ্গাসাগরের নদীবাঁধ-এলাকা। ডানার প্রভাব পড়লে আবারও ক্ষতির মুখে পড়তে পারে গঙ্গাসাগরের বাসিন্দারা।
গঙ্গাসাগরে কপিল মুনি মন্দিরের সামনের ঘাট পুরোপুরি নদীগর্ভে চলে গিয়েছে প্রায় দু-কিলোমিটার বেশি। এবারে ডানার প্রভাবে যদি আরও ভাঙে, আরও ক্ষতি হয় গঙ্গাসাগরের, তাই সিঁদুরের মেঘ দেখছেন স্থানীয় ব্যবসায়ী থেকে স্থানীয় মানুষ। একাধিকবার এই এলাকায় কাজ হলেও সেই কাজে কোনও লাভ হয়নি বলে মত একাংশের। কপিলমুনি মন্দির আগামী দিনে আরও ভয়ংকর ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা।
ডানার প্রভাব পড়তে পারে উপকূলবর্তী এলাকায়। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সতর্কবার্তা ও কন্ট্রোলরুম খোলা হল। সময় যত এগোচ্ছে, ডানার প্রভাব তত পড়ছে। বিভিন্ন জায়গায় দফায় দফায় বৃষ্টি, মেঘাচ্ছন্ন আকাশ।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা কাকদ্বীপ নামখানা পাথরপ্রতিমা গঙ্গাসাগর-সহ বিভিন্ন জায়গায় প্রতিরক্ষা দফতরের কর্মীরা এনডিআরএফ কর্মীরা মাইকিংয়ের প্রচারের পাশাপাশি সাধারণ মানুষকে সতর্কবার্তা দিচ্ছেন। গঙ্গাসাগর কাকদ্বীপ-সহ বিভিন্ন জায়গার পুলিস প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপকূলবর্তী এলাকার মানুষকে সতর্কবার্তা শোনানো হচ্ছে। পাশাপাশি এই দিন ঘোড়ামারা দ্বীপ গঙ্গাসাগরের মহিষমারি গঙ্গাসাগর এলাকার পরিদর্শন করেন সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা । আপৎকালীন ভাঙা বাঁধগুলি কাজের ব্যবস্থা করেছে প্রশাসন। পাশাপাশি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন কাকদ্বীপ বলা হয়েছে কন্ট্রোলরুম। প্রতিটা মুহূর্তের আপডেট নিচ্ছে জেলা প্রশাসন।