পুলিস সূত্রে খবর, ধৃতের নাম আব্দুস সালাম। তৃণমূলের সংখ্য়ালঘু সেলের মোথাবাড়ি অঞ্চলের সভাপতি তিনি। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ওই তৃণমূল নেতার বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিস। বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় দুটি আগ্নেয়াস্ত্র ও কার্তুজ। এরপরই গ্রেফতার করা হয় আব্দুলকে। কেন বাড়িতে অস্ত্র মজুত করে রেখেছিলেন, তা খতিয়ে দেখছে পুলিস।
মালদহ দক্ষিণের বিজেপি সম্পাদক অম্লান ভাদুড়ি বলেন, 'তৃণমূল দলটা পুরোটা দুর্বত্তায়ন হয়েছে। ক্রিমিনাল, তোলাবাজে ভরে গিয়েছে। জেলা সভাপতি তৃণমূলের, তিনি কুকথা বলতে মাস্টার। তিনি বলেছেন, আন্দোলন শুরু করব। তার আন্দোলন মানে বিরোধীদের নিকেশ করা। সেই কারণেই, বিভিন্ন জায়গায়...গতকাল তৃণমূলের ওয়ার্ডে বোমা বিস্ফোরণে বাচ্চা আহত হল'।
বিজেপির নেতার মতে, 'পুলিস ধরেছে ভালো করেছে। আমি পুলিস সুপারকে বলব এই বিষয়টা ভালো করে নজর রাখা দরকার। আশঙ্কা হচ্ছে,বিভিন্ন বোমা অস্ত্র যেভাবে তৃণমূল করছে, এতে বড়সড় কোনও দুর্ঘটনা ঘটবে বা নাশকতা হবে। নজর রাখা দরকার। না হলে কিন্তু সাধারণ মানুষ পুলিসকে দোষারোপ করবে'।
রাজ্য তৃণমূলের সহ সভাপতি কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরীর পাল্টা দাবি, 'মুখ্যমন্ত্রী পরিষ্কার বলেছেন, প্রশাসনকেও সেভাবে নির্দেশ দিয়েছেন। কোনও রং দেখার নয়। যে অপরাধমূলক কাজে যুক্ত থাকুক, সে যে স্তরেরই হোক, তাঁর বিরুদ্ধে... ইতিমধ্যেই অনেকের বিরুদ্ধে তিনি অ্যাকশন নিয়েছেন। আমরা তো মুখ্যমন্ত্রীর উপরে নই। আমাদের দলকে ক্যাডার ভিত্তিক দল নয়, অনেকে ঢুকে যাচ্ছে। তারা যদি পার্টির বিরুদ্ধে কাজ করে, জনগণের বিরুদ্ধে কাজ করে, পুলিস আছে। ব্যবস্থা হবে'।
এর আগে, গতকাল মঙ্গলবার মালদহ শহরের ডগপুকুর পুকুর এলাকার বোমা বিস্ফোরণ ঘটে। বল ভেবে খেলতে গিয়ে বোমার আঘাতে গুরুতর জখম হয় ছয় বছরের এক শিশু। গুরুতর আহত অবস্থায় মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি সে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, দুপুরে স্থানীয় একটি চিকিত্সাকেন্দ্রে চত্বরে খেলা করছিল শিশুটি। হচাত্ চিকিত্সাকেন্দ্রে বারান্দা একটি গোলাকার বস্তু নজরে পড়ে। এরপর যখন বল ভেবে সেটিকে নিয়ে খেলতে যায়, তখনই বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়়ে এলাকায়।