ডানা আছড়ে পড়ার আগেই নিকাশি, সিভিক, বিদ্যুৎ ও আলো, উদ্যান, স্বাস্থ্য এবং জঞ্জাল অপসারণ বিভাগকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা পুর কর্তৃপক্ষ। ইন্ট্রিগ্রেটেড কন্ট্রোল রুমও খোলা হল কলকাতা পৌর সংস্থায়।
একনজরে দেখে নিন কী কী ব্যবস্থা নিল কলকাতা পুরসভা:
১) পৌর সচিবকে নোডাল অফিসার করে বোরো ও ওয়ার্ড-ভিত্তিক দল গঠন করা হল
২) কলকাতা পৌর সংস্থার কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে সংযুক্ত থাকছে নবান্ন ও লালবাজার পুলিস হেড কোয়ার্টার
৩) বুধবার দুপুর ২টো থেকে শনিবার পর্যন্ত চরম সতর্কতা কলকাতা পৌর সংস্থায়
৪) সমস্ত বিভাগকে সতর্ক থাকার নির্দেশ পুর কর্তৃপক্ষের
৫) বিপত্তি ঘটলে কন্ট্রোলরুম নম্বরে যোগাযোগ করতে পারেন সাধারণ মানুষ; রইল নম্বর-- ২২৮৬-১২১২/১৩১৩/১৪১৪ (2286-1212/1313/1414)
৬) প্রস্তুত রাখা হয়েছে ২৮১টি নিকাশি মেশিন
৭) প্রস্তুত এনডিআরএফ টিম
৮) ৪৫২ টি পাম্প সক্রিয় রাখা হয়েছে। তৈরি রাখা হয়েছে সাকশন মেশিন। মজুত রাখা হয়েছে হাইড্রলিক ল্যাডার-সহ একাধিক সরঞ্জাম
এদিকে, ভারতীয় মৌসম ভবনের তরফে মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র ডানা নিয়ে দিলেন জরুরি কিছু আপডেট। জানালেন, সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়তে পারে-- কেন্দাপাড়া, জগৎসিংপুর, ভদ্রক, পূর্ব মেদিনীপুরে। তারপর পশ্চিম মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ক্ষতির সম্ভাবনা। ওড়িশার কয়েকটি জেলা-সহ রাজ্যের পূর্ব মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় টাইডাল ওয়েবের সম্ভাবনা রয়েছে। আমফানের তুলনায় দুর্বল হলেও ইয়াসের থেকে শক্তিশালী হতে পারে ডানা। ভিতরকণিকা ও ধামরায় এর ল্যান্ডফল।
আজ, বুধবার সকালে উত্তর-পশ্চিম দিকে সাইক্লোন ঘনীভূত হয়েছে। পারাদ্বীপের থেকে এটি ৪৯০ কিলোমিটার দূরে আছে এখন। ধামরা থেকে ৫২০ কিমি দূরে। সাগরদ্বীপ থেকে ৫৭০ কিমি দূরে। আজ মধ্যরাত থেকে কাল সকালের মধ্যে এর এগিয়ে আসার গতি আরও বাড়বে। পুরী, সাগরদ্বীপের মধ্যে ভিতরকণিকা, ধামরা পোর্ট এলাকায় ল্যান্ডফল হতে পারে। তখন ঝড়ের গতিবেগ ১২০ কিমি প্রতি ঘণ্টা হতে পারে।
পশ্চিমবঙ্গের সমুদ্র তীরবর্তী জেলা, হাওড়া, হুগলিতে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় টাইডাল ওয়েভ আসবে। সাইক্লোন যখন আসবে তখন হাওড়া, হুগলিতে বাতাসের গতিবেগ ৭০ থেকে ৭৫ কিমি হতে পারে। পূর্ব মেদিনীপুরে ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা বেশি।