• শুধু পুজো নয়, আলোর উৎসবে সমাজসেবায় সকলের মুখে হাসি ফোটানোই লক্ষ্য এই ক্লাবের
    প্রতিদিন | ২৪ অক্টোবর ২০২৪
  • সুলয়া সিংহ: ‘জীবে প্রেম করে যেই জন, সেই জন সেবিছে ঈশ্বর।’ স্বামী বিবেকানন্দর এই বাণীকে পাথেয় করেই প্রতি বছর কালীপুজোয় নানা সমাজসেবা মূলক কার্যকলাপ করে থাকে বনহুগলি যুবক সংঘ। তাদের কাছে পুজো মানে শুধু উৎসব নয়। বরং উৎসবের মরশুমে প্রত্যেকের মুখে হাসি ফোটানোয় বিশ্বাসী পুজো উদ্যোক্তারা।

    আগামী ৩১ অক্টোবর অর্থাৎ বৃহস্পতিবার কালীপুজো। তার আগে থেকেই মানুষের সেবায় ব্রতী হচ্ছে বনহুগলি যুবক সংঘ। ২৯ তারিখ পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের প্রধান দৈতাপতি রাজেশ দৈতাপতি এই পুজোর উদ্বোধন করবেন। পরের দিন উৎসবের আবহেই আয়োজন করা হচ্ছে রক্তদান শিবিরের। এ মরশুমে বাংলায় জ্বর, ডেঙ্গুর প্রকোপ খানিকটা বাড়ে। ব্লাডব্যাঙ্কে রীতিমতো হাহাকার পড়ে যায়। সে কথা মাথায় রেখেই ডেঙ্গু রোগীদের স্বার্থে বরানগরে রক্তদানের ব্যবস্থা করবে ক্লাব কর্তৃপক্ষ। দিওয়ালির পর, ২ নভেম্বর ৫০০ জন দুস্থ মহিলার হাতে তুলে দেওয়া হবে শাড়ি।

    ক্লাবের সম্পাদক শংকর রাউত জানান, “৩৮তম বর্ষে পা রাখছে বনহুগলি যুবক সংঘের পুজো। প্রতিবারের মতো এবারও সাবেকি প্রতিমাই পূজিত হবেন। তবে এবার কোনও থিম হচ্ছে না। কারণ মন্দিরে পুজোর আয়োজন করা হচ্ছে। প্রায় দুই-আড়াই হাজার মানুষকে প্রসাদ বিতরণ করা হবে।” তিনি আরও বলেন, “পুজোয় বস্ত্র বিতরণ কিংবা রক্তদান শিবিরের ব্যবস্থা আমরা প্রতিবারই করে থাকি। আসলে আলোর উৎসবে কেউ যাতে অন্ধকারে না থাকে, সেটাই আমরা মন থেকে চাই।”

    এখানেই শেষ নয়। জনসাধারণকে পরিবেশ নিয়ে সচেতন করার উদ্যোগও নিয়েছে এই ক্লাব। গত আগস্ট থেকে গোটা বরানগর জুড়ে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই স্থানীয়দের হাতে হাজারেরও বেশি গাছ তুলে দেওয়া হয়েছে রোপণের জন্য। একই সঙ্গে ক্লাবের তরফে বরানগরের বিভিন্ন প্রান্তে নিম গাছ লাগানোর কাজও চলছে। সবমিলিয়ে আলোর উৎসবে এলাকার বাসিন্দাদের মুখেও হাজার ওয়াটের হাসিকেই পাথেয় করে এগিয়ে যেতে বদ্ধপরিকর বনহুগলি যুবক সংঘ।
  • Link to this news (প্রতিদিন)